আজকাল ওয়েবডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ। আর সেই বিবাদের জেরে কয়েক দিনের ব্যবধানে দুই পরিবারের দুই সদস্য আত্মঘাতী। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় এখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। প্রাক-বিবাহ বন্ধুত্ব নিয়ে শুরু হওয়া বিবাদ যে শেষ পর্যন্ত এমন ভয়াবহ মৃত্যুতে গিয়ে ঠেকবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি কেউ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত ২৯ অক্টোবর বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সূরজ শিবান্নার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল গানভীর। পেশায় ব্যবসায়ী সূরজ এবং এমবিএ স্নাতক গানভীর বিয়ে হয়েছিল পারিবারিকভাবেই। পরিবারের দাবি, ধুমধাম করে বিয়ে হলেও এই সম্পর্কে গানভীর খুব একটা মত ছিল না। মাসির চাপে পড়েই তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। খবর অনুযায়ী, বিয়ের পরই ১০ দিনের মধুচন্দ্রিমার জন্য শ্রীলঙ্কায় পাড়ি দেন দম্পতি।
শ্রীলঙ্কায় গিয়েই বাঁধে গোলমাল। জানা গিয়েছে, সেখানে গানভীর এক পুরনো বন্ধুর কথা প্রকাশ্যে আসতেই দম্পতির মধ্যে চরম অশান্তি শুরু হয়। গানভী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এই বিয়ে টিকিয়ে রাখতে চান না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ১০ দিনের সফর কাটছাঁট করে মাত্র পাঁচ দিনেই বেঙ্গালুরু ফিরে আসেন তাঁরা।
শহরে ফেরার পর গানভী তাঁর বাপের বাড়িতে চলে যান এবং সেখানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনার পরই গানভীর পরিবার সূরজের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে অত্যাচার ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মা ও দাদাকে নিয়ে বেঙ্গালুরু ছেড়ে পালান সূরজ। গত শনিবার নাগপুরের একটি হোটেল থেকে সূরজের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ছেলের মৃত্যু দেখে তাঁর মা জয়ন্তী দেবীও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গিয়েছেন।
সূরজের পরিবারের দাবি, পণের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উল্টে গানভীর পরিবারের ভয়েই তাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরু পুলিশ পণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। মাত্র দেড় মাসের দাম্পত্য। শ্রীলঙ্কার সমুদ্রতীরে যে গল্পের শুরু হয়েছিল, তার এমন করুণ পরিণতিতে শোকস্তব্ধ দুই পরিবারই।
