আজকাল ওয়েবডেস্ক: বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক কিশোরের। প্লাস্টিকের শেড ভেঙে নিচে পড়ে প্রাণ হারাল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। গত রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির গুজরানওয়ালা টাউন এলাকার এই ঘটনায় রীতিমত শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম কাবিন কুমার (১৬)। সে অশোক বিহারের একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র ছিল। রবিবার বিকেলে তিন বন্ধুর সঙ্গে গুজরানওয়ালা টাউনের ‘ইনভিটেশন’ রেস্তোরাঁয় গিয়েছিল সে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, আড্ডা দিতে দিতে ওই কিশোররা সিঁড়ি দিয়ে রেস্তোরাঁটির ছাদে উঠে যায়। সেখানে পাশাপাশি দুটি দোকানের মাঝখানে একটি প্লাস্টিকের শেড লাগানো ছিল। হঠাৎই কাবিন সেই শেডটির ওপর উঠে পড়ে। কিন্তু তার ভার সইতে পারেনি হালকা প্লাস্টিকের কাঠামোটি। মুহূর্তের মধ্যে সেটি ভেঙে সটান নিচে পড়ে যায় সে।

জানা গিয়েছে, বিকেল ৫টা ৫১ মিনিট নাগাদ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই বন্ধুরা কাবিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। পেন্টামেড হাসপাতালের চিকিৎসকরা কাবিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওপর থেকে পড়ার আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে কিছুদিন আগেই আরেক হাড়হিম কাণ্ড ঘটে দিল্লিতে৷ মাত্র তেরো বছরের এক কিশোরীকে মদ্যপান করিয়ে গণধর্ষণ। অভিযোগে নামী ব্যাঙ্কের কর্মীসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। দিল্লির রাজা বিহার এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের নাম ঋষভ ও নরোত্তম। জানা গিয়েছে, ঋষভ একজন ব্যাঙ্কের কর্মী এবং নরোত্তম ওই এলাকায় একটি সেলুন চালায়। গত ২০ ডিসেম্বর অভিযুক্তরা প্রথমে ওই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রাজা বিহারের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে বছর তেরোর ওই কিশোরীকে জোর করে মদ্যপান করানো হয়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে ওই দুই ব্যক্তি।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাবার ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিশোরীর বাবার অভিযোগ ছিল, তাঁর মেয়েকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ডিসিপি হরেশ্বর স্বামী জানান, “তদন্তের স্বার্থে কিশোরীর বয়ান নথিভুক্ত করার সময় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। কিশোরী জানায় যে তাকে কেবল মদ্যপানই করানো হয়নি, তার উপর যৌন নির্যাতনও চালানো হয়েছে।”

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার পরের দিনই পকসো আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে শ্রীঘরে পাঠানো হয়। পাশাপাশি গোটা ঘটনার নেপথ্যে অন্য কারও যোগসাজশ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।