আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন বাণিজ্যনগরী মুম্বই। মঙ্গলবার থেকে মুম্বই ও পুণে–সহ মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ ভারী বৃষ্টি এবং ঝড় শুরু হয়েছে। তীব্র গরম থেকে সাময়িক মুক্তি মিললেও জল জমে গিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। তীব্র যানজটে সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা। এদিকে, বুধবারই ওয়াংখেড়েতে রয়েছে মুম্বই ও দিল্লির মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সেই ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এর মধ্যে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার থেকে রাজ্যের কিছু অংশে আগামী চার দিন একই রকম আবহাওয়া থাকবে। জারি হয়েছে হলুদ এবং কমলা সতর্কতা। মঙ্গলবার সন্ধে থেকে ভারী বৃষ্টির জেরে মুম্বইয়ের পোওয়াইয়ের মতো জনবহুল এলাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। জলবায়ু কমপ্লেক্সের কাছে ঝড়ে গাছ উপড়ে গিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। প্রবল বৃষ্টির জেরে ডুবে গিয়েছে আন্ধেরি সাবওয়ে। পুণেতেও একই দৃশ্য। সেখানে জল জমে গিয়েছে বিমানবন্দরেও। ঠাণে জেলার মিরা–ভায়ন্দর, রত্নগিরি জেলার ভেরভালি এবং ভিলাভাড়ে স্টেশনের মাঝে প্রবল বজ্রপাত ও ভূমিধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে সন্ধেয় কোঙ্কণ রেলওয়ের পরিষেবা ব্যাহত হয়। ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় একাধিক রুটে। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
মুম্বইয়ের আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, কর্নাটক উপকূলের অদূরে পূর্ব–মধ্য আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় দানা বেঁধেছে। যে কারণে বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইবে। বুধবার পুণে, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গ, অহিল্যা নগর, কোলাপুর, বীড, শোলাপুর, ধারাশিব এবং ছত্রপতি সম্ভাজি নগরে অতিভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে মুম্বই, পালঘর, ঠাণে, রায়গড়, ধুলে, নন্দুরবার, জলগাঁও, নাসিক, সাতারা, সাংলি, জালনা, অমরাবতী এবং ভান্ডারায়।
