আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুলের মধ্যে চরম হেনস্থা। নির্মম নির্যাতনের শিকার একের পর এক ছাত্রী। এবার ঘটনাস্থল হরিয়ানা। এক বেসরকারি স্কুলে ছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করতে দেখা গেল। ঘটনার অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধেই। যা ঘিরে তুমুল শোরগোল এলাকায়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানাতে। পুলিশ জানিয়েছে, ফতেহাবাদে এক বেসরকারি স্কুলের চরম হেনস্থার শিকার হয়েছে দুই ছাত্রী। তাদের বেধড়ক মারধর করতে দেখা গেছে ওই স্কুলের প্রিন্সিপালকে। যে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। প্রিন্সিপালের নাম ও পরিচয় এখনও ফাঁস করা হয়নি। ঘটনাটি ঘিরে জোরকদমে তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ছাত্রীদের হেনস্থার ঘটনাটি ধরা পড়েছে। যেখানে দেখা গেছে, একদল ছাত্রী প্রিন্সিপালের সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে হঠাৎ এক ছাত্রীকে কষিয়ে থাপ্পড় মারেন তিনি। এরপর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে মারধর শুরু করেন। পা দিয়ে লাথি মারতেও দেখা গেছে।
এরপর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আরও এক ছাত্রীকে চরম হেনস্থা করেন ওই প্রিন্সিপাল। তাকেও হুমকি দেন বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, ওই ছাত্রীরা সকলেই একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে এসেছিল। সেটি জানতে পারেন প্রিন্সিপাল। স্কুলে ফোন নিয়ে আসার কারণেই ছাত্রীদের নির্মম নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
গত সপ্তাহেই এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। মত্ত অবস্থায় স্কুলে প্রবেশ শিক্ষকের। যদিও নির্দিষ্ট সময়ে নয়, লাঞ্চের পর স্কুলে ঢুকেছিলেন তিনি। ছোট্ট ভুলের জন্য নাবালক পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল ওই মত্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মারধরের জেরে গুরুতর আহত ছ'বছরের পড়ুয়া।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বলরামপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ক্লাসে সামান্য ভুলের জন্য ছ'বছরের এক নাবালক পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অঙ্কের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, সেই সময় ওই শিক্ষক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। শিক্ষকের মারধর গুরুতর আহত হয়েছে ওই নাবালক।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্কুলে মারধরের জেরে পড়ুয়ার চোখে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ফুলে যায় মুখ। রক্তাক্ত হয় ওই পড়ুয়া। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে জাওয়াখাদি প্রাইমারি স্কুলে। লাঞ্চের পর অভিযুক্ত শিক্ষক উদয় যাদব স্কুলে ক্লাস করাতে আসেন। ক্লাসের মধ্যে এক পড়ুয়াকে অঙ্ক নিয়েই প্রশ্ন করেছিলেন। সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেনি নাবালক। তখনই রাগ চড়ে যায় অভিযুক্ত শিক্ষকের।
সহপাঠীদের সামনেই পড়ুয়াকে একের পর এক চড়, থাপ্পড় মারতে শুরু করেন শিক্ষক। সেই মারধরের জেরেই পড়ুয়ার চোখে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে স্কুলে নির্যাতনের বর্ণনা করে পরিবারে। গুরুতর আহত পড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়েই তাঁর বাবা থানায় তড়িঘড়ি অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, মত্ত অবস্থায় ওই শিক্ষক স্কুলে এসেছিলেন। অতীতেও একাধিকবার মত্ত অবস্থায় স্কুলে এসে একাধিক পড়ুয়াকে মারধর করেছেন। ঘটনার জেরে গ্রামেও তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
