আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুরু ঘাসীদাস কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন অধ্যাপক এবং এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে শনিবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এনএসএস (ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম) ক্যাম্প চলাকালীন, শিক্ষার্থীদের সম্মতি ছাড়াই তাদের ঈদের নামাজ পড়তে বাধ্য করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩১শে মার্চ, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিবতারাই গ্রামে এক সপ্তাহব্যাপী (২৬শে মার্চ থেকে ১লা এপ্রিল) এনএসএস ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছিল। কিছু ছাত্র অভিযোগ করে জানিয়েছে, ঈদের দিন ক্যাম্পের মাঠে মুসলিম ছাত্ররা নামাজ পাঠ করছিল। সেই সময় উপস্থিত অন্যান্য ছাত্রদেরও নামাজ পড়তে বলা হয়, তবে তাদের পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি।
কোটা থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, "ক্যাম্পের নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে যোগব্যায়াম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঈদের দিন মুসলিম ছাত্ররা নামাজ পড়ছিল, তখন অন্যান্য ছাত্রদেরও অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। কিন্তু ছাত্রদের মতামত না নিয়েই এটা করা হয়েছিল, যা নিয়ে আপত্তি উঠেছে।"
বিভিন্ন দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সদস্যদের সহায়তায় অভিযোগকারীরা পুলিশের কাছে এফআইআর করেন। পরে কোণি থানায় প্রথম মামলা নথিভুক্ত করা হলেও ঘটনাস্থল কোটা থানার আওতাভুক্ত হওয়ায় মামলা স্থানান্তর করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু হয়েছে:
১৯৬(খ) (গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো), ১৯৭(১)(খ)(গ) (জাতীয় সংহতির প্রতি ক্ষতিকর মন্তব্য), ২৯৯ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ও দুষ্টচক্রমূলক কাজ), ৩০২ (ইচ্ছাকৃতভাবে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য কিছু বলা), ১৯০ (অবৈধ সমাবেশ)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া সেল ইনচার্জ অধ্যাপক এম এন ত্রিপাঠী জানান, "আমরা এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো অফিসিয়াল নোটিশ পাইনি। আমরা কেবল মিডিয়া মারফত বিষয়টি জানতে পেরেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য পাওয়ার পর আমরা মন্তব্য করব।"
পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
