আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইউপিআই লেনদেনের উপর নাকি জিএসটি বসতে চলেছে। এই খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সর্বত্র। তবে এবার বিষয়টি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।


২ হাজার টাকার ওপর নাকি জিএসটি বসতে চলেছে। এই খবরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। তবে বিষয়টি নিয়ে বেশি জলঘোলা হওয়ার আগেই সেটি নিয়ে স্পষ্ট মতামত দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হল এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। এই ধরণের যে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন।


ডিজিটাল ভারতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে ইউপিআই। হিসেব থেকে দেখা গিয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এর পরিমান হয়েছিল ২১.৩ লক্ষ কোটি টাকা। এই লেনদেনের পরিমান ২০২৫ সালের মার্চ মাসে হয়েছে ২৬০.৫৬ লক্ষ কোটি টাকাতে। ফলে প্রতি বছরেই এর পরিমান ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। ফলে ক্রেতা থেকে শুরু করে বিক্রেতা সকলেরই বিরাট লাভ হয়েছে। সময়ের সঙ্গে বেঁচেছে বাকি সমস্যাও।


ইউপিআই থেকে শুধু বড় ধরণের লেনদেন নয়। ছোটো ব্যবসায়ীরাও বেশ লাভবান হয়েছেন। তাদের অল্প টাকার লেনদেনও তারা অতি সহজেই করতে পেরেছেন। এসিআই ওয়ার্ল্ডওয়াইড রিপোর্ট ২০২৪ সালের হিসেব অনুসারে ভারত বর্তমানে বিশ্বের মোট ডিজিটাল লেনদেনের ৪৯ শতাংশ করছে। মানে হল বিশ্বের মোট ডিজিটাল লেনদেনের প্রায় অর্ধেক লেনদেন হয়েছে ভারতবর্ষ থেকেই। ফলে বিশ্বের বাজারে ডিজিটাল লেনদেনে ভারত এখন অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।


তবে একটি ভুয়ো খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল ২ হাজার টাকার বেশি লেনদেনের ওপর কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বসাতে চলেছে। খবরটি প্রকাশিত হতেই চারিদিকে শোরগোল পড়ে যায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে আসরে নামে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। তারা জানিয়ে দেয় এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষ এতদিন যেভাবে ডিজিটাল পেমেন্ট করছিলেন তেমনভাবেই করতে পারবেন। ইউপিআই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এই খবরটি একেবারে মিথ্যা এর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।