আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ির আলমারিতে ভরী ভরী সোনা রেখেছেন? এই প্রশ্ন কাউকে করে দেখুন। দেখবেন রে রে করে উঠবে। জানাবেন না স্পষ্ট। সোনা বহু মানুষেরই ভবিষ্যতের সঞ্চয়। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ সোনা কিনেই, তা পাঠিয়ে দেন ব্যাঙ্কের লকারে। নেকেই আবার বারিতেও রাখেন।

কিন্ত্য লকারে সোনা কতটা সুরক্ষিত? সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আর্থিক উপদেষ্টা লভিশ আনন্দ সম্প্রতি তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর গল্প শেয়ার করেছেন। যিনি আবিষ্কার করেছিলেন যে বন্যার সময় বেসমেন্টের লকারে জল ঢুকে যাওয়ার পর তার পরিবারের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া গয়নাগুলিতে নাকি মরচে ধরেছে। ব্যাঙ্ক বীমা হিসেবে যেটুকু সাহায্য করেছিল, সেই পরিমাণ অতি নগন্য।  


আনন্দ বলছেন, অনেকেই এখনও লকারকে পারিবারিক সোনার জন্য চূড়ান্ত ভল্ট হিসেবে বিবেচনা করেন। কিন্তু বাস্তবে, এই লকারগুলিতে ন্যূনতম সুরক্ষা থাকে। এমনকি চুরি, অগ্নিকাণ্ড বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রেও, প্রদত্ত ক্ষতিপূরণ আদতে বার্ষিক লকার ভাড়ার সঙ্গেই যুক্ত থাকে, সাধারণত কয়েক হাজার টাকার বেশি হয় না। এর অর্থ হল, ভিতরে যা-ই থাকুক না কেন, সর্বাধিক বীমাকৃত পরিমাণ খুব কম হয়।

তাঁর বক্তব্য, মানুষ এই লকারগুলিতে লক্ষ লক্ষ, কখনও কখনও কোটি টাকার সোনার বার, পুরানো মুদ্রা, বিবাহের গহনা রাখে। কিন্তু তারা যে সুরক্ষা ধরে নেয় তা আসলে থাকে না। 

তিনি একইসঙ্গে সরকার-সমর্থিত একটি বিকল্পের কথা বলেছেন, যা সুরক্ষা এবং প্রবৃদ্ধি দুইই প্রদান করে। তা হল স্বর্ণ মুদ্রাকরণ প্রকল্প বা জিএমএস। তথ্য, জিএমএসের অধীনে, ব্যক্তিরা পাঁচ থেকে পনেরো বছরের মেয়াদের জন্য অনুমোদিত ব্যাঙ্কগুলিতে অব্যবহৃত সোনা জমা করতে পারেন। সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা হয়, আনুষ্ঠানিকভাবে ওজন করা হয় এবং রেকর্ড করা হয়। আমানতকারীরা জমা দেওয়ার সময় সোনার মূল্যের উপর ২.২৫ থেকে ২.৫ শতাংশ বার্ষিক সুদ পান। গুরুত্বপূর্ণভাবে, এই প্রকল্পটি মরিচা, চুরি বা লকার বীমা সীমা সম্পর্কে উদ্বেগ দূর করে।