আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শৌচালয়ের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফিরল না আর মেয়ে। কিছুক্ষণ পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায় একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়। ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার কেওনঝার জেলায়৷ জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। গনধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর বিদ্ধস্ত পরিবার। হরিচন্দনপুরের এই রোমহষর্ক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ৷ ১৭ বছর বয়সী তরুণীর এই ভয়াবহ পরিণতিতে চমকে উঠেছে দেশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি সোমবার রাতের। শৌচালয়ের উদ্দেশে সে বাড়ি থেকে বেরোয়। এরপরই তরুণী নিখোঁজ হয়। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরের দিন সকালে গ্রামের কাছে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুরুষদের রক্তমাখা পোশাক এবং আরও কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। ফলত পরিবারের সদস্যরা সন্দেহ করে তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে।
মেয়েটির বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এটি আত্মহত্যা দেখানোর চেষ্টা করা হয়৷ গ্রামবাসীদের দিনব্যাপী বিক্ষোভের পর, পুলিশ বিএনএস ধারা ৭০(২) (গণধর্ষণ) এবং ১০৩(১) (হত্যা) এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে।
নির্যাচিতার পরিবার প্রথমে মৃতদেহ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে নাদুরোয়াড়া-কালিয়াহাট সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ দুইজনকে আটক করলে, তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
