আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসামে ভয়াবহ কাণ্ড। তিনসুকিয়া জেলায় এক স্কুলছাত্রীকে তিন যুবক মিলে ধর্ষণ করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা নিয়ে গোটা এলাকায় প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার দুপুরে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে তখন মেয়েটি স্কুল ছুটি হওয়ার পর বাড়ি ফিরছিল। খবর অনুযায়ী, দুপুর ৩টে নাগাদ ওই ছাত্রী যখন বাড়ি ফিরছিল, তখনই তিন জন তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে একটি চা বাগানের নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ পর, চা বাগান থেকেই তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়।
নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেছেন, "স্কুল থেকে ফেরার সময় ৩টে নাগাদ মোটরবাইকে আসা তিন যুবক মেয়েকে অপহরণ করে। চা বাগানে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। যখন আমরা মেয়েকে চা বাগানে খুঁজে পাই, ওর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আমরা ওকে সোজা বরডুবি থানায় নিয়ে যাই। সেখান থেকে মেয়েকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।"
এই ঘটনার বিচার চেয়ে এবং দোষীদের অবিলম্বে কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিন নির্যাতিতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা বরডুবি থানায় জড়ো হন।
পুলিশ সূত্রে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের দায়ের করা এফ আই আর-এর ভিত্তিতে বরডুবি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তদন্ত জারি রয়েছে।
অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলায় এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। এক বিবাহিত মহিলাকে হামলা ও যৌন হেনস্থার চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত এক ১৪ বছরের কিশোর। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা অভিযুক্ত কিশোরকে প্রতিরোধ করতেই সে তাঁকে কাস্তে এবং লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে সোমবার। ৪০ বছর বয়সি ওই মহিলা তাঁর মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। সেখানেই নবম শ্রেণির ওই ছাত্র তাঁকে জাপটে ধরে জোর করে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করে। তিনি তখন মরিয়া হয়ে বাধা দেন। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরটি তাঁকে লাঠি ও কাস্তে দিয়ে বারবার আঘাত করে। পুলিশের খবর অনুযায়ী, আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে মহিলাটি মাঠেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন।
পরে গ্রামের কিছু মানুষ তাঁকে দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। তাঁরাই মহিলাকে হামিরপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পরে চণ্ডীগড়ের পিজিআই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই নবম শ্রেণির ওই ছাত্রকে হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ভাঙা পেন ও স্কেলের টুকরো পেয়েছে।
হামিরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রাজেশ শর্মা জানিয়েছেন, জেরার মুখে অভিযুক্ত কিশোর তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ নিশ্চিত যে ওই কিশোর মহিলাটিকে যৌন হেনস্থার উদ্দেশ্যেই এই হামলা করেছিল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
