আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘটনাস্থল সেই ওড়িশা। ফের সেখানেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে আশঙ্কানজক কিশোরী। পুড়ে গিয়েছে শরীরের বেশিরভাগ অংশ। আশঙ্কাজনক নাবালিকা। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভুবনেশ্বর এইমস থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিল্লি এইমস। একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। জানা গিয়েছে এয়ার লিফট-এ করে তাকে ভুবনেশ্বর থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিল্লি।

দিন কয়েক আগের ঘটনা। তার ক্ষত শুকায়নি এখনও। তার মাঝেই ফের প্রকাশ্য রাস্তায় অগ্নিদগ্ধ কিশোরী। প্রথম ঘটনা ১২ জুলাইয়ের।  বালেশ্বরের ফকির মোহন (স্বায়ত্তশাসিত) কলেজ ক্যাম্পাসে নিজেকে আগুনে পুড়িয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ২০ বছরের এক ছাত্রী।  

আরও পড়ুন: আকাশ কালো কলকাতার, কিছুক্ষণেই তুমুল বৃষ্টি সাত জেলায়, আগামী সপ্তাহের বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস

বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন ওই পড়ুয়া।  দিন কয়েক আগে কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কাছে তরুণী অভিযোগ দায়ের করেন বলে খবর সূত্রের। সেখানেই সাহুর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করা হয়। তাতেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। তারপর থেকে বেশ কয়েকদিন তরুণী এবং তাঁর সহপাঠীরা বিক্ষোভ দেখান। তাতেও কোনও লাভ হয় না। শনিবার একই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ্যের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই বেরিয়ে এসে গায়ে আগুন দেন তরুণী। অন্যদিকে তরুণী নিজেকে অগ্নিদগ্ধ করার পর, অভিযুক্ত সমীর কুমার সাহুকে তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চিকিৎসাতেও শেষরক্ষা হয়নি। তার আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার।

সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই পুরীর রাস্তায় নৃশংস ঘটনা। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শনিবার বাইয়াবার গ্রামে নিজের বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার পথে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে তিন দুষ্কৃতি। শনিবার রাস্তায় কিশোরীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় তিন দুষ্কৃতি। ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়েই পুলিশ তদন্তে নামে। ইতিমধ্যে দোষীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।


ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ওড়িশার উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী প্রভাতি পারিদা। এক্স পোস্টে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি। লিখেছেন, "পুরী জেলার বালঙ্গা অঞ্চলের একটি ১৫ বছরের কিশোরীকে রাস্তায় পেট্রল ঢেলে আগুন লাগানোর ঘটনা জেনে আমি স্তম্ভিত ও মর্মাহত। তাকে দ্রুত এইমসে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসার সমস্ত খরচ সরকার বহন করবে। পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।'

?ref_src=twsrc%5Etfw">July 19, 2025

পুরীর ঘটনায় বিজেপি ও জাতীয় মহিলা কমিশন-কে নিশানা করেছে তৃণমূল। কটাক্ষ ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির দিকেও। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, "পুরীতে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর গায়ে দিবালোকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তিন জন দুষ্কৃতী! বিজেপি, তোমার বেটি বাঁচাও স্লোগান এখন কোথায়? কোথায় লুকিয়ে আছে? জাতীয় মহিলা কমিশনকে প্রশ্ন, তারা ভারতের কন্যাদের রক্ষা করার পরিবর্তে বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে জাদুকরীভাবে বন্ধ করতে ব্যস্ত? মোদি- এটা শাসনব্যবস্থা নয়। এটা অপরাধমূলক অবহেলা। প্রধানমন্ত্রী, তোমার হাতে রক্ত।"

 

রবিবার, সর্ববভরতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, ওই কিশোরীর শরীরের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ অংশ দগ্ধ। জানা গিয়েছে দিল্লি যাওয়ার আগে, ভুবনেশ্বর এইমস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত গ্রিণ করিডোর করে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।