আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় ১০ বছরের সম্পর্ক। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর উভয়ই জড়িয়ে পড়েন সমকামী সম্পর্কে। এরপর প্রেমিকের কথায় সাড়া দিয়ে লিঙ্গ বদলের দিকে ঝোঁকেন ওই দু'জনের এক যুবক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে যুবক নারী হয়ে ওঠেন। এতটা সবই ঠিক ছিল। কিন্তু, লিঙ্গবদলের পরই সম্পর্কে চিড় ধরে। প্রেমিকের আর তাঁর সঙ্গীনীকে ভাল লাগছিল না। ফলে প্রথমে সম্পর্কের গভীরতা কমে যায়, এরপর দেখা সাক্ষাৎও বন্ধ হয়ে যায় দু'জনের। যা মানতে রাজি ছিলেন না লিঙ্গ পরবর্তন করা নারী।
প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ২৫ বছরের যুবতী।
পুলিশ জানিয়েছে যে, নর্মদাপুরমে প্রথম দেখা হয়েছিল তাঁদের। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে বসবাস করতেন এবং সমকামী সম্পর্কেও ছিলেন।
মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলার ওবেদুল্লাগঞ্জের বাসিন্দা অভিযোগকারীর মতে, অভিযুক্ত তাঁকে লিঙ্গ-নিশ্চিতকরণ অস্ত্রোপচার করানোর জন্য চাপ দিয়েছিলেন। তবে, প্রক্রিয়াটির পরে তিনি তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ।
ভোপাল পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। মামলাটি নর্মদাপুরম থানায় পাঠানো হয়েছে, কারণ অভিযুক্ত সেই জেলার বাসিন্দা।
গান্ধীনগর থানার ইনচার্জ ব্রিজেন্দ্র মেরস্কোল সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন যে, ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতন সম্পর্কিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগকারী দাবি করেছেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি গুপ্তচরবৃত্তি করেন। লিঙ্গ পরিবর্তনের আগে, তিনি অভিযোগকারীকে শোষণ করতেন।
ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অভিযোগকারীর কিছুদিন আগে ইন্দোরের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়েছিল, পুরুষ থেকে তিনি একজন মহিলা হন। অভিযোগকারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছিল, যা তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
