আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি নামকরা গ্যাংস্টার কার্তিক বাগ্গনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পুরনো শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড। পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় এই গ্যাংস্টার কার্তিক বাগ্গনকে গুলি করে হত্যা করেছে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র হামলাকারীরা। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে। খবর অনুযায়ী, কার্তিক বাগ্গন ও তাঁর বন্ধু সারবন একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা শহরের সুন্দর নগর এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা ওই দুষ্কৃতীরা তাঁদের আচমকা ঘিরে ধরে। এরপর পেছন দিক থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সারবন, যিনি একজন গাড়ি পরিষ্কারের কর্মচারী, তিনিও হামলাকারীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। এরপর দুজনেই মাটিতে পড়ে যান। পরে হামলাকারীরা আরেক দফা বাগ্গনের ওপর গুলি চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, আরও পাঁচবার গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালায় অভিযুক্তরা। ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলেই কার্তিক বাগ্গনের মৃত্যু হয়। তাঁর বন্ধু সারবন গুরুতর আহত হন৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ আহত সারবনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ADCP) দবিন্দর চৌধুরী।
পুলিশ অনুমান করেছে, এটি দুই গ্যাংয়ের পুরনো শত্রুতার ফল হতে পারে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷ পাশাপাশি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, 'গোপি ঘনশ্যামপুরা গ্যাং' নামের প্রতিদ্বন্দ্বী একটি গোষ্ঠী সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তাও দিয়েছে তারা। একটি বার্তায় তারা জানায়, 'আমরা (ডনি বাল, মোহাব্বত রন্ধাওয়া, অমর খাব্বে, প্রভ দাসুওয়াল এবং কৌশল চৌধুরী) কার্তিক বাগ্গনের হত্যার দায় নিচ্ছি। সে আমাদের ভাইদের সঙ্গে শত্রুতা করত এবং নানা সময়ে গালিগালাজ করত। যে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে যাবে, তার পরিণতিও এমনই হবে। সে যত বড় দেশেই থাকুক না কেন, তার মৃত্যুই হবে চূড়ান্ত পরিণতি।'
আরও পড়ুন: বাসন না মেজে তাতে প্রস্রাব করছেন পরিচারিকা! ধরা পড়তেই হুলুস্থুল
খবর মারফত জানা গিয়েছে ২০২৩ সালের জুন মাসে বাগ্গনের ওপর একইভাবে হামলা হয়েছিল লুধিয়ানার বেঞ্জামিন রোডে। সেসময় তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি পুলিশের চোখ এড়িয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
কার্তিক বাগ্গনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছিল বলে জানায় পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছে হত্যাচেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি প্রায়ই অস্ত্রসহ নিজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেন এবং আদালতে হাজিরার সময় ভিডিও তৈরি করে তা প্রচার করতেন।
পুলিশ ইতিমধ্যে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়াও অন্যান দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা পর্যবেক্ষণ চলছে সেটিও।
