আজকাল ওয়েবডেস্ক: উৎসবের আবহে একসঙ্গে সাজগোজ করছিল পরিবার। যুবক নিজের পোশাক পরে আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন। যমজ মেয়েকে পোশাক পরিয়ে, সাজগোজ করাতে ব্যস্ত ছিলেন যুবকের স্ত্রী। এর মাঝেই ঘটল বিপত্তি। মায়ের ধমক শুনেই হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করল খুদে সন্তান। 

জানা গেছে, মা যে পোশাকটি পরিয়েছিলেন, সেটি পছন্দ ছিল খুদে কন্যার। সেই পোশাকটি সে পরতেও চায়নি। জামাটি বদলে দেওয়ার জন্য আবদার করছিল সে। তা শুনেই রাগের মাথায় ধমক দেন মা। আর মায়ের ধমক শুনেই কেঁদে একসা হয় সে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় বাবার কাছে। কিন্তু তারপরেও থামেনি। মায়ের ব্যবহারে দুঃখ পেয়ে সোজা চাইল্ড হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানায়। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, খুদে কন্যার এই কীর্তি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন এক যুবক। পেশায় তিনি একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে রাখি বন্ধন উৎসবের দিন। সেই এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে সকলে তৈরি হচ্ছিলেন। তাঁর যমজ কন্যাসন্তান রয়েছে। দুজনের বয়স চার বছর। রাখি উৎসবের আবহে মায়ের বকাঝকা শুনে আর সহ্য করতে পারেনি এক মেয়ে। 

আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টায় কলকাতা সহ চার জেলায় তুমুল বৃষ্টি, নিম্নচাপের কালো মেঘে ফের তোলপাড় হবে দক্ষিণবঙ্গ, জারি চরম সতর্কতা

পোস্টে যুবক লেখেন, যমজ সন্তান হলেও, দুজনের স্বভাব, আচরণ একেবারে ভিন্ন। একজন শান্তশিষ্ট, নম্র ব্যবহারের। আরেকজন প্রচন্ড দুরন্ত, ছটফটে। একজনকে সামলে বেশি কসরত করতে হয় না। কিন্তু আরেক মেয়েকে সামলাতে গিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছুটে যায় তাঁদের। চাইল্ড হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেছিল সেই দুরন্ত, ছটফটে কন্যাসন্তান। 

যুবক জানিয়েছেন, দুই মেয়েকে একসঙ্গে জামা পরিয়ে তৈরি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু উৎসবে দিনে ওই জামাটি মেয়ের পছন্দ হয়নি। তাই অন্য একটি পছন্দের জামা পরার জন্য আবদার করছিল সে। তখনই জোরে চেঁচিয়ে ধমক দেন তাঁর স্ত্রী। মায়ের ধমক শুনে কেঁদে ফেলে মেয়ে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে বাবার কাছে। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে বাবার কাছে নালিশ করে। মেয়ের পছন্দের জামাটি পরিয়ে দেন যুবক। 

এরপরেই কাঁদতে কাঁদতে মেয়ে বলে, 'আর একবার যদি আমায় ধমক দাও, তাহলে আমি পুলিশে ফোন করব।' তখনই বাবার কাছে তাঁর ফোনটি চায় সে। বিষয়টি খানিকটা পর ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এরপর হঠাৎ আবারও ঘরে ঢুকে মায়ের উদ্দেশে মেয়ে বলে, 'আমায় আর কখনও বকাঝকা করলে, পুলিশে জানিয়ে দেব।' চুপিচুপি বাবার ফোন নিয়ে অন্য একটি ঘরে চলে যায়। 

সেই ঘরে ঢুকেই চাইল্ড হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সে জানায়, 'আমার মা খুব খারাপ। জোরে জোরে আমায় ধমক দেন। বকাঝকা করেন।' ফোনটি লাউডস্পিকারে রেখেছিল সে। তাই পাশের ঘর থেকে সবাই সেটি শুনতেও পান। এরপরই নাকি পুলিশ ছুটে আসে তাঁদের বাড়িতে। যদিও বিষয়টি পরে মিটমাট করে নেওয়া হয়। 

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে।‌ একজন লিখেছেন, 'আজকালকার চার বছরের শিশুরাও কত স্মার্ট!' একজন আবার লিখেছেন, 'মায়ের নামে এই বয়সেই নালিশ! আমরা ভাবতেও পারতাম না।' কেউ একজন লিখেছেন, 'মেয়ের জ্বালায় তো তটস্থ থাকার কথা আপনাদের। বড় বিপদ বাড়ল!'