আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের ইন্টারনেট দুনিয়ায় বড় খবর। ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক ভারতে স্যাটেলাইট যোগাযোগ (স্যাটকম) পরিষেবার লাইসেন্স পেয়েছে। এয়ারটেল ও রিলায়েন্সের পর টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে লাইসেন্স পাওয়া তৃতীয় সংস্থা হল স্টারলিঙ্ক। সূত্রের খবর, আবেদন করার মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই স্টারলিঙ্ক-কে পরীক্ষামূলক স্পেকট্রাম সরবরাহ করা হবে।

স্টারলিঙ্ক ২০২২ সাল থেকে ভারতে বাণিজ্যিকভাবে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তায় উদ্বেগে কারণে গোটা প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হয়েছে। অ্যামাজনের কুইপার প্রকল্পটি এখনও ভারতে লাইসেন্সের জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

স্যাটেলাইট পরিষেবার জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দের পদ্ধতি নিয়ে ধনকুবের মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্কের সঙ্গে মুকেশ আম্বানির জিও-র মতবিরোধ হয়েছিল। তবে, ভারত সরকার মাস্কের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। কেন্দ্র জানায়, তারা নিলামের চেয়ে স্পেকট্রাম বরাদ্দের পক্ষে। এরপর অবশ্য, এয়ারটেল ও জিও স্টারলিঙ্কের সঙ্গে চুক্তি সেরেছে। এই চুক্তি ছিল শর্তাধীন। সেখানে উল্লেখ রয়েছে যে, ভারত সরকারের ছাড়পত্র পেলে তবেই এদেশে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট ব্যবহার করবে এয়ারটেল ও জিও।

স্টারলিঙ্ক সম্পর্কে মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মন্তব্য-

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে, ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক ভারতে তৃতীয় স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী হিসাবে অনুমোদিত হয়েছে। টেলিযোগাযোগ বিভাগ এর আগে ভারতীর ওয়ানওয়েব এবং রিলায়েন্স জিওকে লাইসেন্স দিয়েছে।

মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, স্পেকট্রাম বরাদ্দ লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। তিনি বলেন, "এর পরে, সরকার স্পেকট্রাম সরবরাহ করবে। পরবর্তীকালে, দেশে স্যাটেলাইট টেলিকম পরিষেবা দ্রুত গতিতে সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে। আমি নিশ্চিত যে ভারতে গ্রাহক ভিত্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।" তিনি ভারতের বাজারে স্টারলিঙ্কের প্রবেশের গুরুত্বও তুলে ধরে জানান, দেশের টেলিযোগাযোগ পরিষেবায় একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হল স্টারলিঙ্ক।