অরিন্দম মুখার্জি: ঝাড়খন্ডে চান্ডিলে ধানক্ষেত থেকে নড়ছে না হাতিরা। দুই হস্তিশাবকের খেলার জায়গা হয়ে গিয়েছে ওই ধানক্ষেত। ফলে হাতির পালও ওই এলাকা ছাড়ছে না। এর ফলে কৃষকদের মাথায় হাত। ফসল বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। ধান খেয়ে ফেলছে হাতিরা। গত তিন মাস ধরে চলছে এই ঘটনা। বন বিভাগ সূত্রে খবর, চান্ডিলের তিল্লা জঙ্গলে একটি হাতি প্রসব করেছে। অন্য একটি হাতি গর্ভবতী। যার কারণে হাতিরা তাদের এই স্থান ছাড়তে চাইছে না। অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকালে দুই দাঁতাল হাতিকে রসুনিয়ার গ্রামে খেলতে দেখা যায়। গ্রামের লোকজন সকলে মিলে তাদের জঙ্গলে ফেরানোর জন্য তাড়া করে।
এদিকে, কৃষকরা বন বিভাগের কাছে অভিযোগ জানাবার পর ফর্ম ফিলাপ করে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারি টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা এখনও ফেরত পাওয়া যায়নি।
কৃষকদের দাবি, বন বিভাগও হাতিদের জঙ্গলে ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে না। এদিকে, হাতির দলকে তাড়ানোর জন্য গ্রামবাসীদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সেই সামগ্রী নেই আর সেই সামগ্রী বন বিভাগও তাদের দেয়নি। জানা গেছে, এই হাতির দলের জন্য রসুনিয়া, তিল্লা, গুন্ডা, হাতিনাদা, শুকসারি,
কুশপুতুল সীমান্ত এলাকাগুলোয় প্রচুর ধান নষ্ট হয়েছে। গ্রামবাসীরা ভীষণই চিন্তিত। রসুনিয়া এবং তিল্লা জঙ্গলে তিনটি হাতির দল রয়েছে। এক একটি দলে প্রায় ১৫টি করে হাতি রয়েছে। এমনকী রসুনিয়া গ্রামের এক যুবক হাতির হামলায় মারাও যান।
এই হাতির দল গ্রামের একশো একরের বেশি জমির ধান ও ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। হাতির উৎপাতের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রসুনিয়া, তিল্লা, সুখসারি, হাতিনাদা, কুশপুতুল। সেখানে হেক্টর হেক্টর ধান নষ্ট হয়েছে।
ঝাড়খন্ড সরকারের বন বিভাগের রেঞ্জার শশী প্রকাশ বলেন, ‘হাতির দল ১০০ একরের বেশি জমির ফসল নষ্ট করেছে। আমাদের কাছে অন্তত ৩০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। কৃষকদের অনুদান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি। কিউআরটি দল হাতির দলকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনওভাবেই হাতির দলগুলো সেখান থেকে যাচ্ছে না। বন বিভাগ হাতির দলের উপর নজর রাখছে। জঙ্গলে ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে।’
