আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি গুজরাটে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা৷ এই ঘটনায় যোগীরাজ্যে আবারও চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত এক শিক্ষক। জানা গিয়েছে, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। শিক্ষকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জেরে গুরুতর আহত দুই ব্যক্তি। গাড়ির গতি এতই তীব্র ছিল যে এক কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় একটি মোটরবাইক। মোটরবাইকে থাকা দুই ব্যক্তির অবস্থা বর্তমানে সঙ্কটজনক। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে জাতীয় সড়ক ৪৮-এর মোদাসা-লুনাওয়াড়া রোডে। দুর্ঘটনা ঘটার সময় একটি গাড়ি এবং একটি মোটর বাইক একে অপরকে অতিক্রম করছিল। ভয়াবহ এই এই ঘটনায় গোটা এলাকা মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায়। 

 

ঘটনার জেরে দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে উপস্থিত ওই শিক্ষক এবং তাঁর মদ্যপ ভাই দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের গাড়ি থেকে মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে পুলিশ গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করে। 

ভাইরাল হওয়া তেত্রিশ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত গাড়ি বাইকটিকে সামনে আটকে রেখেই টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এক আরোহী শেষ পর্যন্ত রাস্তায় ছিটকে পড়েন এবং তাঁর হাত প্রায় গাড়ির চাকার নীচে চলে যায়। 

 

গাড়ির চালক অর্থাৎ অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মনীষ প্যাটেল এবং তাঁর ভাইয়ের নাম মেহুল প্যাটেল। তদন্তে আহত দুই ব্যক্তির পরিচয় জানা গিয়েছে। আহতরা হলেন ৫০ বছর বয়সী দীনেশভাই এবং ২১ বছর বয়সী সুনীল।

 

মাহিসাগরের উপ-পুলিশ সুপার কমলেশ ভাসাভা বলেছেন, "দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি দলকেও ডাকা হয়েছে। তদন্ত জারি রয়েছে।" তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। আহতরা বর্তমানে লুনাওয়াড়া সিভিল হাসপাতাল এবং গোধরা সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন: 'শিক্ষিত' সন্তানদের মা'র ঠাঁই গোয়ালঘরে! খবর পেয়ে উদ্ধার করল পুলিশ 

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা। ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার চৌফাটকা ব্রিজে বুধবার সকালে একটি বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক ৩৬ বছর বয়সি ব্যক্তি। পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ দিল্লি নম্বরের ওই গাড়িটি সরাসরি দুটি মোটরবাইককে সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পর পরই গাড়িচালক ধরা পড়ার ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তবে গাড়ির নম্বর প্লেটের একটি অংশ ঘটনাস্থলে ভেঙে পড়েছিল।

 

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়ির ভেঙে যাওয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেটের অংশ উদ্ধার করে চালককে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।" পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই আধিকারিকের কথায়, "আঘাতের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বাইক দুটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে।"

 

ক্যান্টনমেন্ট থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) সুনীল কুমার জানান, দুর্ঘটনায় আহত চারজনকেই স্থানীয় কলভিন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে মণ্ডেরার বাসিন্দা রোহিত কুশওয়াহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

 

আহতদের মধ্যে রয়েছেন কারচানার বাসিন্দা বিদ্যভূষণ (৩৬), মাটগঞ্জের বাসিন্দা সঞ্জয় অগ্রহারী (৫২) এবং শহরের কারবালা এলাকার বাসিন্দা মঞ্জু (৪০)। তাঁদের তিনজনকেই কলভিন হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

 

খবর অনুযায়ী, মৃতের বাবা রবি প্রকাশ একজন অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী, জানিয়েছেন যে রোহিত সাউন্ড ডিজে-র ব্যবসা চালাতেন। ঘটনার জেরে এসএইচও কুমার আরও বলেন, "মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি দিল্লির। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দ্রুত গাড়িটি উদ্ধার করা হবে, কারণ সেটি ধূমনগঞ্জ এলাকার দিকে পালিয়ে গিয়েছিল।"