আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের ছোট্ট শহরের এক সাধারণ দর্জি মহম্মদ শাহিদ। আইপিএল চলাকালীন অন্যান্য দিনের মতোই গত মঙ্গলবারেও ফ্যান্টাসি লিগে টিম বানিয়েছিলেন তিনি। তখন কে জানত, সেই দলই বদলে দেবে তাঁর জীবন। ফ্যান্টাসি লিগে টিম বানিয়ে ৩ কোটি টাকা পেয়েছেন শাহিদ। যাতে করে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে তাঁর ভাগ্যের চাকা। গত মঙ্গলবার আইপিএলে মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস ও গুজরাট টাইটান্স। দেশের অগণিত ক্রিকেটপ্রেমীদের মতোই শাহিদও ম্যাচের জন্য নিজের ফ্যান্টাসি দল সাজিয়েছিলেন।
কিন্তু তখন তিনি কল্পনাও করতে পারেননি যে এই দলই তাঁর জীবন বদলে দেবে। জানা গিয়েছে, ম্যাচ শেষ হওয়ার পর যখন শাহিদ স্কোর চেক করেন তখন নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। তাঁর বানানো দল ছিল শীর্ষস্থানে। যে শাহিদ এতদিন দর্জির কাজ করতেন, তিনিই নিখুঁতভাবে ফ্যান্টাসি লাইনআপ সাজিয়ে কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। চাত্রা শহরের দর্জি বিঘা এলাকার বাসিন্দা শাহিদের দিন কাটত সেলাই করেই। এখন তাঁর এই সাফল্যের গল্প চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই অভিনন্দন জানাতে শাহিদের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। কিন্তু তাঁর বাড়ির দরজা বর্তমানে বন্ধ। কারণ, শাহিদ গিয়েছেন মুম্বইতে।
যে বিপুল পরিমাণ টাকা তিনি জিতেছেন তা গ্রহণ করতে এবং যাবতীয় কাজ শেষ করতে। সম্ভবত তার নতুন প্রাপ্ত সম্পত্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে। জানা গেল, ওই ব্যক্তি এই প্রথম বা শুধুই ভাগ্যের জোরে ফ্যান্টাসি লিগে টিম বানাচ্ছেন না। বেশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। শাহিদের প্রধান দলটি ৩ কোটি টাকা জিতেছে। তাঁর বানানো অন্যান্য তিনটি দলও ৮,৫০০ টাকা, ৫,০০০ টাকা ও ৩,৫০০ টাকা পুরস্কার পেয়েছে। মাত্র ৪৯ টাকা বিনিয়োগ করেই কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন তিনি। শাহিদের বানানো দলে শ্রেয়স আইয়ার ছিলেন অধিনায়ক এবং সাই সুদর্শন ছিলেন সহ-অধিনায়ক।
