আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইন্সটাগ্রামে এক চিকিৎসক একটি পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি হৃদয় সুস্থ রাখার একটি টিপস দিয়েছেন। এমন এক টিপস যার পিছনে একজন সাধারণের মানুষের এক টাকাও খরচ হবে না। আর তা শেয়ার হতেই, ভিউ বাড়ছে তরতরিয়ে। বহু লাইক, কমেন্ট। মানুষজন নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন অবলীলায়। কেউ কেউ জানাচ্ছেন, কতটা উপকার হল তাঁর। কেউ আবার সত্যি এই পরামর্শ পালন করবেন কী না তা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন।
কেন? কারণ বর্তমানকালে একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই পর পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। তার সাম্প্রতিক উদাহরণ বপছর পঁচিশের গুন্ডলা রাকেশের মৃত্যু। ব্যাডমিন্টন খেলতে খেলতে হাসিমুখেই মুখ থুবড়ে পড়েন তিনি। প্রাণ যায় তৎক্ষণাৎ।
তার মাঝেই ভাইরাল হয়েছে চিকিৎসকের পরামর্শ। ২৭শে জুলাইয়ের একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দীর্ঘদিনের চিকিৎসক ডাঃ ভাসকে বলতে শোনা যায়, প্রতিবার খাবারের পরে একটি ছোট্ট অভ্যাস বজায় রাখলেই কেল্লাফতে। ফিট থাকবে হৃদয়। ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, প্র’তিবার খাবারের পর ১৫ মিনিট করে হাঁটলেই একগুচ্ছ সমস্যার সমাধান হতে পারে। যেমন- গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ উন্নত করতে পারে, ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে পারে এবং ধমনীগুলিকে সুরক্ষিত করতে পারে। তিনি আরও বলেন, এটি প্রতিদিনের ক’ পা হাঁটলাম তা গণনা বা জিমে যাওয়ার বিষয়ে নয়- এটি একটি দৈনন্দিন রুটিনকে শক্তিশালী কার্ডিওভাসকুলার ওষুধে পরিণত করার বিষয়।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষই এই অভ্যাস পালন করেন না, কিন্তু করতে চাইলে, এই একটি অভ্যাস এক ধাক্কায় ৪০ শতাংশ হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। তাঁকে ভিডিওতে বলতে শোনা গিয়েছে, সকালের, দুপুরের, রাতের খাবারের পর, প্রতিবার অন্তত ১৫ মিনিট করে মন দিয়ে হাঁটতে। কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এটি খাবারের পরে রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। যখন আপনি খান, তখন আপনার গ্লুকোজ বেড়ে যায়। এটি স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এটি খুব বেশি বেড়ে যায়, তবে এটি আপনার ধমনীতে সমস্যা এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি করে। দ্রুত হাঁটা দ্রুত পেশীতে গ্লুকোজ সরবরাহ করতে সাহায্য করে।‘

