আজকাল ওয়েবডেস্ক: দাদু থেকে নাতি, সকলেরই পছন্দের পারলে-জি বিস্কুট। মজার বিষয় হল, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বিস্কুট এবং ভারতে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভারতে যখন সকাল বা সন্ধ্যার চা পরিবেশন করা হয়, তখন 'পারলে-জি' সবসময়েই প্লেটে জায়গা পায়। কোম্পানিটি ১৯২৯ সালে মোহনলাল দয়াল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অন্যান্য ব্র্যান্ডের মতো, 'পারলে-জি'ও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। কারণ ভারতে তখন কঠোরভাবে খাদ্য রেশনিং ব্যবস্থা প্রটোলিত ছিল। কিন্তু অনন্য স্বাদ এবং প্যাকেজিংয়ের কারণে বাধা অতিক্রম করতে এবং তার জনপ্রিয়তা ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছিল পারলে-জি। সুন্দর ছোট্ট মেয়ের ছবি-সহ বিস্কুটের মোড়কটি সারা দেশের গ্রাহকদের হৃদয় কেড়ে নিয়েছে।

১৯৬০ সালে শিল্পী মগনলাল দাহিয়া পার্লে-জি-র মোড়কের নকশা করেছিলেন। তবে, যারা মোড়কে থাকা মেয়েটিকে খুঁজছেন, তারা জানেন যে- এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র ছিল এবং কারও সঙ্গে ছবিটির মিল ছিল না। পার্লে-জি-র স্থায়ী নকশা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দৃঢ় ব্র্যান্ড আনুগত্য গড়ে তুলেছে, ভারতে গৃহস্থালির প্রধান পণ্য হিসেবে এর অবস্থান নিশ্চিত করেছে।

পার্লে-জি-তে "জি" শব্দটির অর্থ:

মানুষ মনে করে পার্লে-জি-তে "জি" শব্দটির অর্থ গ্লুকোজ। কিন্তু তা নয়। আসলে "জিনিয়াস" বোঝাতেই "জি" শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে। কম দাম, ব্যাপক এবং সহজলভ্যতার কারণে বিস্কুটটির জনপ্রিয়তা গগনচুম্বী। পণ্যের ধারাবাহিক গুণমান ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরও দৃঢ় করেছে।

পার্লে-জি ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। অনেকের শৈশবের স্মৃতি পার্লে-জি-র সঙ্গে জড়িত।

পার্লে-জি কীভাবে বিশ্বের সেরা বিস্কুট হয়ে উঠল?

১৯৮০-এর দশকে, যখন কোক এবং পেপসির মধ্যে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ চলছিল, তখন দেশীয় বাজারে পাওয়া পার্লের পানীয়ের বাজার জয়ের জন্য একটি ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল। পার্লে থামস আপ, লিমকা, গোল্ড স্পট এবং ফ্রুটির মতো পানীয় বাজারে নিয়ে আসে। কৌশলটি এতটাই ভাল এবং সফল ছিল যে কোকা-কোলা থামস আপ সেটি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত বিস্কুট:

২০১১ সালে, পার্লে-জিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নীলসেন, বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত বিস্কুট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর সাফল্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও এই বিস্কুটের দাম বাড়েনি।