আজকাল ওয়েবডেস্ক: চরম বিশৃঙ্খলার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা! রবিবার অর্থাৎ আজকের মধ্যেই ১৫০০ বিমান চালু করার কথা জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি। ইতিমধ্যেই নেটওয়ার্কের ৯৫ শতাংশ পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে বলেও ওই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক করা যাবে বলেই আশাবাদী ইন্ডিগো। কিন্তু, অসন্তুষ্ট কেন্দ্র। অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। কেন হল এমন অবস্থা? ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন শহরে ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। শুধু শনিবারই ১০০-র বেশি বিমান বাতিল হওয়ায় যাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়েন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সংস্থাটি গত শুক্রবার বড়সড় 'সিস্টেম রিবুট' করে। এর ফলে ৫ ডিসেম্বর ইন্ডিগো মাত্র ৭০০-র কিছু বেশি বিমান চালায়। রিবুট চলাকালীন বহু রুটে পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। ফলে একদিকে বাতিল বিমান, অন্যদিকে সময় বদল- সব মিলিয়ে যাত্রীদের নাভিশ্বাস অবস্থা হয়।
ইন্ডিগো-র দাবি, একটানা সমস্যা চলতে থাকায় নেটওয়ার্ক, সময়সূচি ও স্টাফ রস্টার নতুন করে সাজানো ছাড়া উপায় ছিল না। তাই একদিনের জন্য এত সংখ্যায় বিমান বাতিল করে পুরো সিস্টেম রিসেট করা হয়। তাতেই শনিবার থেকে পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
আগেই যাত্রীদের কাছে এই অসুবিধার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স। তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন যে, খুব দ্রুত পুরো নেটওয়ার্কে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।
কেন্দ্রের নির্দেশ:
বাতিল হওয়া সব বিমানের রিফান্ড প্রক্রিয়া রবিবার রাত ৮টার মধ্যে যে কোনও পরিস্থিতিতেই শেষ করতে হবে। সময়সীমা মানতে ব্যর্থ হলে নিয়ম মেনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক শনিবারই ইন্ডিগোকে এ কথা জানিয়েছিল। ইন্ডিগোকে আরও বলা হয়েছে, যাত্রীদের সহায়তার জন্য ‘ডেডিকেটেড প্যাসেঞ্জার সাপোর্ট অ্যান্ড রিফান্ড ফেসিলিটেশন সেল’ তৈরি করতে হবে। এই বিশেষ সেলই সরাসরি যোগাযোগ করবে যাত্রীদের সঙ্গে এবং নিশ্চিত করবে যাতে বারবার যাত্রীদের টাকা ফেরত পেতে বারবার যোগাযোগ করতে না হয়। রিফান্ড এবং বিকল্প ভ্রমণ ব্যবস্থা দু’টোই দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
