আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজস্থানের বুন্দি জেলায় এক ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় বাবা-মা এবং তাঁদের এক বছরের শিশুপুত্রের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে জাতীয় সড়ক ৫২ -এর উপর এই ঘটনা ঘটে। একটি ট্রাক পিছন দিক থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে একটি মোটরসাইকেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাকের ধাক্কায় বাইকে বসা তিনজনই কয়েক হাত দূরে ছিটকে পড়েন। ভয়াবহ এই ঘটনার জেরে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। মৃতদের পরিচয় জানা গিয়েছে। তাঁরা সুন্দার সিংহ (৩৬), তাঁর স্ত্রী রাজ কৌর (৩০) এবং তাঁদের শিশুপুত্র অমৃত ওরফে অমরদীপ সিংহ (১)। তাঁরা সবাই বুন্দি জেলার সঁওয়ালপুরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
দুর্ঘটনার পরই অভিযুক্ত ট্রাক চালক গাড়ি ফেলে চম্পট দেয়। পুলিশ তাকে খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি চালাচ্ছে। এই নৃশংস ঘটনায় মৃতের পরিবার সহ এলাকার মানুষজন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাঁরা দুর্ঘটনার প্রতিবাদে কিছুক্ষণের জন্য রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তবে তালেড়া থানার পুলিশ কর্মকর্তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অল্প সময়ের মধ্যেই অবরোধ উঠে যায়। পরে রাস্তার যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে আরও এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার কাছে দিল্লি-লখনউ জাতীয় সড়কে এই পথদুর্ঘটনা। ঘটনায় চার জন এমবিবিএস ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। ছাত্ররা একটি গাড়িতে ছিলেন। গাড়িটি খুব জোরে চলছিল। সেই সময় রাস্তায় পার্ক করে রাখা একটি ডি সি এম (ছোট ট্রাক)-এ তাদের গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে।
সংঘর্ষটি এত মারাত্মক ছিল যে গাড়িতে থাকা চার জন ছাত্রের কেউই বাঁচতে পারেননি। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়িটি একদম দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। দুর্ঘটনা কেন ঘটল, তা দেখতে রাতভর ফরেনসিক দল এবং পুলিশকর্মীরা তদন্ত চালিয়েছেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চার জনই ভেঙ্কটেশ্বর ইউনিভার্সিটির এমবিবিএস ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরাও দুর্ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। বর্তমানে নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে এবং তাঁদের পরিবারের লোকেদের খবর দেওয়া হচ্ছে। রাজাবপুর থানার পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
একই দিনে আরও একটি খারাপ খবর পাওয়া গিয়েছে। ওই একই রাতে, রাত প্রায় পৌনে নয়টা নাগাদ, আমরোহার গজরৌলা জাতীয় সড়ক ৯-এ অন্য একটি দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় দু’জন যুবক মারা গিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুই যুবকের নাম দীপক এবং নিতিন। তাঁরা লখিমপুর খেরি জেলার সোনা খুর্দ গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা গুরুগ্রামে বাইক রাইডারের কাজ করতেন। ঘটনার দিন তাঁরা কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন।
এই ঘটনার খবর পেয়েও স্থানীয় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং আইনি প্রক্রিয়ার পর দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। স্টেশন হাউস অফিসার মনোজ কুমার এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুলিশ সব রকম আইনি পদক্ষেপ করছে।
