আবু হায়াত বিশ্বাস, দিল্লি: দেশজুড়ে আন্দোলনে নামছে কংগ্রেস। রাজ্যে রাজ্যে ‘‌সংবিধান বাঁচাও’‌ র‌্যালি করবে তারা। সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিক ন্যায়ের দাবিতে রাজ্যে রাজ্যে আগামী ২৫ থেকে ৩০ এপ্রিল এই জনসভা হবে। 

 

গোটা মে মাস জুড়ে চলবে আন্দোলন কর্মসূচি। ৩ মে থেকে ১০ মে জেলায় জেলায় হবে জনসভা। ১১ মে থেকে ১৭ মে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় হবে সংবিধান বাঁচাও জনসভা। ২০ থেকে ৩০ মে ঘর ঘর সংবিধান বাঁচাও অভিযান করবে কংগ্রেস। শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেস সাধরাণ সম্পাদক, পর্যবেক্ষক এবং দলের ফ্রন্টাল সংগঠনের নেতাদের জরুরি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। 

 

বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানান, ২১ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি ও ইডির অপব্যবহার নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করা হবে দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে। জয়রাম জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে একজন জেলা কংগ্রেস কমিটির চেয়ারপার্সন নিয়োগ করা। যার জন্য প্রতিটি জেলায় পাঁচজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। এছাড়াও, ৩১ মে-র মধ্যে নতুন সভাপতি নিয়োগ করা হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে বিভিন্ন রাজ্যে 'সংগঠন সৃষ্টি অভিযান' আয়োজন করা হবে।’‌ এদিনের বৈঠকে সদ্য হওয়া আহমেদাবাদ অধিবেশনের ‘‌ন্যায় পথ’ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এবং তা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। 

 

গত ৮ ও ৯ এপ্রিল আহমেদাবাদ এআইসিসি অধিবেশন হয়েছিল। সেই অধিবেশনের পর রাজ্যে রাজ্যে সংগঠনকে সাজানোর কাজে লেগে পড়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই গুজরাটে কংগ্রেসের সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে ময়দানে নেমেছেন রাহুল গান্ধী। সারা দেশে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার উপর জোর দিয়েছে হাত শিবির। দলের সংগঠন মহাসচিব কেসি বেণুগোপাল গত ১২ এপ্রিল দেশের সমস্ত প্রদেশ, জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও বিরোধী দলনেতাদের দু’‌পাতার চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, আহমেদাবাদ অধিবেশন পরবর্তী সময়ে দলের অ্যাকশন প্ল্যান কী হবে। সামাজিক মাধ্যমে দলের বক্তব্য বেশি বেশি প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও জেলা, ব্লক, বুথ স্তরে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হবে।