আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত তিন বছরে অধিকাংশ সরকারি ব্যাংকে (পাবলিক সেক্টর ব্যাংক বা PSB) কর্মী সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে, যদিও ব্যাংকগুলির শাখা সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, ক্যানারা ব্যাংক, ব্যাঙ্ক অফ বড়োদা এবং ইউকো ব্যাংকের মতো একাধিক প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। অন্যদিকে, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI) এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (PNB)-এ সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মী সংখ্যা ২০২৩ অর্থবর্ষে ৫২,৩৭৪ থেকে কমে ২০২৪ সালে দাঁড়ায় ৫০,৯৪৪ এবং ২০২৫ সালে আরও কমে হয় ৫০,৫৬৪। ক্যানারা ব্যাংকেও একই প্রবণতা দেখা যায়—২০২৩ সালে ৮৪,৯৭৮ থেকে ২০২৪ সালে ৮২,৬৩৮ এবং ২০২৫ সালে ৮১,২৬০। ব্যাঙ্ক অফ বড়োদার কর্মী সংখ্যা ২০২৩ সালে ৭৬,৫১৩ থেকে কমে দাঁড়ায় ২০২৪ সালে ৭৪,২২৭ এবং ২০২৫ সালে ৭৩,৭৪২। ইউকো ব্যাংকের ক্ষেত্রেও হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে—২০২৩ সালে ২১,৬৯৮ থেকে ২০২৫ সালে ২১,০৪৯-এ পৌঁছেছে।

অন্যদিকে, SBI-র ক্ষেত্রে ২০২৪ সালে সাময়িক পতনের পর (২৩৫,৮৫৮ থেকে ২৩২,৫৯৬), ২০২৫ সালে সংখ্যা বেড়ে হয় ২৩৬,২২৬। একইভাবে, PNB-তে ২০২৩ সালে ১০২,৩১৯ থেকে সামান্য বেড়ে ২০২৪-এ ১০২,৩৪৯ হলেও, ২০২৫-এ সামান্য কমে হয় ১০২,৩১৬। এই সময়কালে সমস্ত ব্যাংকেরই শাখা সংখ্যা বেড়েছে, যা পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে কর্মী হ্রাসের ফলে বাড়ছে পরিষেবার উপর চাপ।

ব্যাংক ইউনিয়নগুলি বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং একাধিক শহরে প্রতিবাদ কর্মসূচিও হয়েছে। ইউনিয়নের অভিযোগ, পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় গ্রাহক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে এবং কর্মীদের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। এক সিনিয়র ব্যাঙ্ক আধিকারিক  বলেন, “অনেক শাখায় মাত্র দুই কর্মী দিয়ে চলছে কাজ। কোথাও কোথাও তিনজন কর্মী পুরো শাখা চালাচ্ছেন। এটা খুবই উদ্বেগজনক।”

এদিকে, ব্যাংক কর্মীদের উপর হুমকি, গালিগালাজ ও শারীরিক নিগ্রহের ঘটনার প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের নির্দেশ দিয়েছে যাতে ব্যাঙ্ক পরিষেবার অবিচ্ছিন্নতা বজায় রাখা যায় এবং কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়।