আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি হলেন সঞ্জীব খান্না। ৫১ তম বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সোমবার সকালেই। কিন্তু সেই তিনিই আজও খুঁজে চলেছেন নিজের বাড়ি। পৈতৃক বাড়ি।
তাঁর পৈতৃক বাড়ি রয়েছে অমৃতসরে। দাদু বানিয়েছিলেন বাড়িটি। তখনও ভারত স্বাধীন হয়নি। অবিভক্ত পাঞ্জাব ছিল তখন। দাদু সরভ দয়াল তখনই তৈরি করেছিলেন বাড়িটি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি যখনই অমৃতসর যান, কাটরা শের সিং-এ যান।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে এলাকা পরিবর্তিত হয়েছে। তাই তখন কাটরা শের সিং বলতে যা বোঝাত এখন আর সেই জায়গা নেই। কিন্তু বিচারপতি খান্না আজও খুঁজে বেড়ান দাদুর বাড়িটি।
প্রধান বিচারপতি খান্নার দাদু ছিলেন সেই সময়কার দুঁদে আইনজীবী। ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার তদন্ত কমিটিতে যুক্ত হন দাদু সরভ দয়াল। সেই সময়েই বিচারপতির দাদু দুটি বাড়ি কিনেছিলেন। একটি জালিয়ানওয়ালাবাগের কাছে কাটরা শের সিংয়ে এবং দ্বিতীয়টি হিমাচল প্রদেশের ডালহৌসিতে। প্রথম বাড়িটিই আজও খুঁজে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি।
বাড়িটির রয়েছে করুণ ইতিহাস। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময়, কাটরা শের সিংয়ের বাড়িটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল বাড়িটি। কিন্তু পরে, সেই অর্ধদগ্ধ বাড়িটি তাঁর দাদু পুনরুদ্ধার করেন।
প্রধান বিচারপতি খান্নার স্মৃতিতেই এখন শুধু সেই বাড়ি। তাঁর বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন তিনি একবার বাবার সঙ্গে ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একটি চিহ্ন দেখেছিলেন যাতে লেখা ছিল 'বাউজি', এর অর্থ "দাদু"। এই চিহ্নটি এখনও ডালহৌসির বাড়িতে রাখা আছে। সূত্রের খবর, সরভ দয়ালের মৃত্যুর পর অমৃতসরের বাড়িটি ১৯৭০ সালে বিক্রি হয়ে যায়। প্রধান বিচারপতি খান্নার কাছে আজও স্মৃতিমেদুর সেই বাড়ির ছবি। তাই যখনই তিনি অমৃতসর যান, কাটরা শের সিং-এ গিয়ে সেই বাড়িটি খোঁজার চেষ্টা করেন।
সেই বাড়ির কথা মনে এলেই তাঁর মনে পরে দাদুর কথা। দাদুর কাছে তিনি পেয়েছেন জীবনের পাঠ। ছুটিতে দেখা হলে দাদু তথা বিচারপতি সরভ দয়াল বলতেন, স্কুলের বই না আনতে। তাঁকে অন্যভাবে জীবনের পাঠ দেবেন। যেগুলো বইয়ে থাকবে না। সেগুলোই এখনও তিনি জীবনে চলার পথে স্মরণ করেন ঘনিষ্ট মহলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
