আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। জলগাঁও থেকে ছত্রপতি সম্ভাজি নগর যাওয়ার পথে সোমবার এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মাঝপথে একটি গাড়ির টায়ার ফেটে যাওয়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়। মর্মান্তিক এই ঘটনায় গাড়ির এক মহিলা যাত্রী ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই আশেপাশের লোকেরা ছুটে আসেন। তাঁরা দ্রুত গাড়ির জানালা ভেঙে ভেতরে আটকে পড়া যাত্রীদের বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, উদ্ধারকাজ চলাকালীনই আগুন হঠাৎ খুব বেড়ে যায়। সেই সময়ই গাড়ির ভেতরে থাকা মহিলা যাত্রীটি অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে, হাইওয়ের ওপর এক মোড়ের কাছে একটি গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। আশপাশে ভিড় করে আছেন বহু মানুষ ও আরও অন্যান্য গাড়ি।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দমকল এবং পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারা দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। গাড়ির বাকি যাত্রীরা কোথায় আছেন বা তাঁদের কী হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য জানা যায়নি। পুলিশ এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে।
অন্যদিকে গতবছরই আরেক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। গাড়ির মধ্যে গল্পে মশগুল ছিলেন দুই বান্ধবী। হঠাৎ দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা গাড়ি। পালানোর আর সুযোগ পাননি কেউ। এক বান্ধবী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। অন্যজন অতি সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোল্লামে। মঙ্গলবার গভীর রাতে অনিলা ও সোনি গাড়িতে করে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। চেম্মামুক্কু এলাকায় আচমকা তাঁদের গাড়িতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। ঘণ্টা খানেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গাড়ি থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দুই যুবতীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে অনিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সোনি অতি সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনিলা ও সোনি একসঙ্গে বেকারিতে কাজ করতেন। তাঁরা বিজনেস পার্টনার ছিলেন। গতকাল একসঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে যখন দু'জনে গল্পে মশগুল ছিলেন, সে সময় তাঁদের গাড়ি থামিয়ে পেট্রোল ঢেলে দেন অনিলার স্বামী। এরপর গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন। স্ত্রী ও তাঁর বান্ধবীর চিৎকার শুনেও ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অনিলার স্বামীকে শনাক্ত করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কী কারণে স্ত্রী ও তাঁর বান্ধবীকে খুনের চেষ্টা করেছেন যুবক, তা ঘিরে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।
