আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বারা হাভেলি খালসা গ্রামে একই দিনে মা ও ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার একটি বাড়ি থেকে মা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ খবর অনুযায়ী,  ৫৫ বছর বয়সি ছেলে বিজয় মিশ্র ওরফে মকরধ্বজ এবং তাঁর ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধা মা মওলা দেবীর নিথর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমেই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘরটি বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রাজেশ কুমার সিং জানান, পুলিশ পাঁচিল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর মা ও ছেলে দু'জনের দেহ উদ্ধার করে। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার প্রসঙ্গে এএসপি বলেন, "মৃত্যুর আগে দু'জনেই বমি করেছিলেন।"প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, কোনও বিষাক্ত জিনিস খেয়েই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। কিন্তু এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তদন্ত জারি রয়েছে৷ 

অন্যদিকে, আরেক ভয়াবহ ঘটনা। মদ্যপ ছেলের হাতে গুরুতর ভাবে দগ্ধ হলেন এক বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, তিনি অভিযুক্তের মা। পুলিশ জানিয়েছে, ওড়িশার ভদ্রক জেলায় এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে। তিহিড়ি থানা এলাকার গলাগান্ডা গ্রামে বাস করতেন ওই বৃদ্ধা। এই ঘটনায় চমকে উঠেছে রাজ্য। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ছেলের নাম দেবাশিস নায়েক (৪৫)। সে নেশার জন্য কুখ্যাত। অভিযোগ, মাকে আগুন ধরিয়ে দিয়েই সে পালিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, দেবাশিস তার মা জ্যোৎস্নারানি নায়েকের (৬৫) কাছে মদ কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল। কিন্তু মা টাকা দিতে রাজি হননি। তাতেই রেগে গিয়ে সে মাকে মারধর করে। মা মাটিতে পড়ে গেলে, দেবাশিস তাঁর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন।

তিহিড়ি থানার অফিসার সত্যব্রত গ্রহরাজ জানিয়েছেন, "ওই বৃদ্ধার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলেও, অভিযুক্ত তার আগেই পালিয়ে যায়।"

জ্যোৎস্নারানি নায়েককে প্রথমে ভদ্রক হাসপাতাল এবং পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেশী বলেন, "ছেলে-মায়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি প্রায়ই হতো। কিন্তু সামান্য মদের টাকার জন্য যে ছেলে মাকে পুড়িয়ে মারতে পারে, সেটা কেউ ভাবতেই পারেনি।"