আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার ভোরে মহারাষ্ট্রের থানেতে একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটি ম্যানহোলে আটকে বাইক থেকে রাস্তায় পড়ে যান এক যুবক, আর তখনই একটি দ্রুত গতির ট্রাক তাঁকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে থানের কালওয়া হাসপাতালের কাছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চারদিকে অন্ধকার ছিল। এর ফলে বাইক-আরোহী ম্যানহোলটি দেখতে পাননি। তাঁর পা ড্রেনের মধ্যে আটকে গেলে তিনি বাইক-সহ রাস্তায় ছিটকে পড়েন। সেই সময়েই আচমকা পিছন থেকে আসা একটি বেপরোয়া ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়।
জানা গিয়েছে, ম্যানহোলটি রাস্তার সমান ছিল না, সেটি অনেকটা নীচে ছিল এবং চারপাশে বড় গর্ত তৈরি হয়েছিল। রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে দু'চাকার গাড়ি চালানো খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল।
এলাকার মানুষের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও বাইক আরোহী ও পথচারীদের সঙ্গে একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও থানে পুরসভা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে কোনওরকম গুরুত্ব দিচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে একই ধরনের দুর্ঘটনায় ৪৭ বছর বয়সি এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। স্বামীর বাইকের পিছনে বসে ছিলেন তিনি৷ এমন সময় তাঁদের বাইকটি একটি গর্তে পড়লে তিনি ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। পালঘর জেলা থেকে নবজে গ্রামে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসারত অবস্থাতেই তিনি মারা যান।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা। ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার চৌফাটকা ব্রিজে বুধবার সকালে একটি বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক ৩৬ বছর বয়সি ব্যক্তি। পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ দিল্লি নম্বরের ওই গাড়িটি সরাসরি দুটি মোটরবাইককে সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পর পরই গাড়িচালক ধরা পড়ার ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তবে গাড়ির নম্বর প্লেটের একটি অংশ ঘটনাস্থলে ভেঙে পড়েছিল।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়ির ভেঙে যাওয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেটের অংশ উদ্ধার করে চালককে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।" পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই আধিকারিকের কথায়, "আঘাতের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বাইক দুটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে।"
ক্যান্টনমেন্ট থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) সুনীল কুমার জানান, দুর্ঘটনায় আহত চারজনকেই স্থানীয় কলভিন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে মণ্ডেরার বাসিন্দা রোহিত কুশওয়াহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন কারচানার বাসিন্দা বিদ্যভূষণ (৩৬), মাটগঞ্জের বাসিন্দা সঞ্জয় অগ্রহারী (৫২) এবং শহরের কারবালা এলাকার বাসিন্দা মঞ্জু (৪০)। তাঁদের তিনজনকেই কলভিন হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
খবর অনুযায়ী, মৃতের বাবা রবি প্রকাশ একজন অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী, জানিয়েছেন যে রোহিত সাউন্ড ডিজে-র ব্যবসা চালাতেন। ঘটনার জেরে এসএইচও কুমার আরও বলেন, "মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি দিল্লির। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দ্রুত গাড়িটি উদ্ধার করা হবে, কারণ সেটি ধূমনগঞ্জ এলাকার দিকে পালিয়ে গিয়েছিল।"
