আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারের ভোটর তালিকা থেকে প্রায় ৫২ লক্ষ্য নাম বাদ পড়ছে। এর মধ্যে ১৮ লক্ষের মৃত্যু হয়েছে, ২৬ লক্ষ ভোটার বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছেন এবং সাত লক্ষের নাম দু'টি জায়গায় নথিভুক্ত করা আছে। নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার জানিয়েছে, "১ অগাস্ট প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় সমস্ত যোগ্য ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।"
বিহারে কমিশন ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় নাগরিরত্ব যাচাইয়ের কাজ করছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিরাট অংশের ভোটারদের বাদ দেওয়ার এটা একটা কৌশল মাত্র। ফলে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে, মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্ট এই প্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা জারি করেনি। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে যে, বাদ পড়া ভোটাররা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদনের যথাযথ সময় পাবেন।
কমিশন আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "২৪.০৬.২০২৫ তারিখের SIR আদেশ অনুসারে, ১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত, খসড়া ভোটার তালিকায় যেকোনও সংযোজন, বাদ দেওয়া এবং সংশোধনের জন্য আপত্তি দাখিলে যেকোনও জনসাধারণের জন্য পুরো এক মাস সময় থাকবে।"
আরও পড়ুন- ক্লাসে বসে পড়ুয়ারা, শিক্ষিকা চেয়ারে বসে চুলে তেল মালিশ করছেন! দেখুন ভাইরাল ভিডিও
কমিশন জানিয়েছে যে, কাগজপত্র-সহ বা ছাড়াই গণনা ফর্ম জমা দেওয়া প্রতিটি ভোটারকে ১ অগাস্ট প্রকাশিত খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি কোনও ভোটার তাঁর গণনা ফর্ম জমা দিতে অক্ষম হন, তবে ঘোষণাপত্রের সঙ্গে নির্ধারিত ফর্মে দাবি জমা দেওয়ার পরে তাদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
কমিশন আরও জানিয়েছে যে, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে, ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এবং প্রকাশের পরেও, মনোনয়নের শেষ তারিখ পর্যন্ত নতুন ভোটারদের তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে।
কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, "বিহারের ১২টি প্রধান রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতিদের নিযুক্ত প্রায় ১ লক্ষ বিএলও, ৪ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক এবং ১.৫ লক্ষ বিএলএ-সহ সমগ্র নির্বাচনী ব্যবস্থা একত্রে কাজ করছে সেইসব ভোটারদের অনুসন্ধানের জন্য, যাঁরা এখনও তাদের গণনা ফর্ম জমা দেননি বা তাঁদের ঠিকানায় পাওয়া যায়নি।"
নির্বাচনী সংস্থা দাবি করেছে যে, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR পরিচালনা করা তাদের সাংবিধানিক কর্তব্য। আদালতে, যেখানে বিষয়টি বিচারাধীন, কমিশন যুক্তি দিয়েছে যে- সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতার উল্লেখ করে সমগ্র প্রক্রিয়াটি একটি সুসংগত এবং একতিয়ারভিত্তিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে।
