আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটির অ্যালায়েন্স (এনডিএ)-এর জয় একপ্রকার নিশ্চিত হওয়ার পরেই শুক্রবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করল বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এই কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন। গণনা শুরুর কিছু পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মানচিত্র ভাইরাল হয়েছে যেখানে গত দুই দশকে রাহুলের ‘৯৫টি নির্বাচনী পরাজয়’ দেখানো হয়েছে।
মালব্য ২০০৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নির্বাচনের বিবরণ দিয়ে একটি গ্রাফিক পোস্ট করেছেন যেখানে রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেস হয় রাজ্য ক্ষমতা হারিয়েছিল অথবা ভোটে জিততে ব্যর্থ হয়েছে। পোস্টে মালব্য লিখেছেন, “রাহুল গান্ধী! আরও একটি নির্বাচন, আরও একটি পরাজয়! যদি নির্বাচনী ধারাবাহিকতার জন্য পুরষ্কার থাকত, তাহলে তিনি সবগুলিই জিততেন।”
মালব্য ৯৫টি নির্বাচনের একটি মানচিত্রও শেয়ার করেছেন যেখানে রাহুল দলের কেন্দ্রীয় প্রচারকদের একজন হওয়ার পর থেকে কংগ্রেস যেসব রাজ্যে হেরে গিয়েছে। এই তালিকায় প্রায় প্রতিটি প্রধান রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হিমাচল প্রদেশ (২০০৭, ২০১৭) এবং পাঞ্জাব (২০০৭, ২০১২, ২০২২) থেকে শুরু করে গুজরাট (২০০৭, ২০১২, ২০১৭, ২০২২), মধ্যপ্রদেশ (২০০৮, ২০১৩, ২০১৮, ২০২৩), মহারাষ্ট্র (২০১৪, ২০১৯, ২০২৪) এবং দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের একাধিক নির্বাচন। এতে উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণের রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পরাজয় এবং ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে বারবার পরাজয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩। ম্যাজিক ফিগার ১২২। । ঘণ্টাখানেক আগেই, সেই ম্যাজিক ফিগার টপকে, ১৯৩ আসনে এগিয়ে এনডিএ শিবির। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে, এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি ভোট। ৮৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি এককভাবে। কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত, সবথেকে বেশি আসনে এগিয়ে ছিল জেডিইউ।
এই মুহূর্তে নীতীশ কুমারের দল এগিয়ে ৭৯ আসনে। অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধনের নেতারা যেখানে সরকার গড়ার প্রত্যাশা করেছিলেন, সেখানে বেশ অনেকটাই পিছিয়ে তাঁরা। মহাগঠবন্ধন সকাল সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এগিয়ে মাত্র ৪৫টি আসনে। আরজেডি এককভাবে এগিয়ে ৩০ আসনে। অন্যদিকে হাত শিবির, অর্থাৎ কংগ্রেস মাত্র চারটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। শুরু থেকেই বিহারের বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব এগিয়ে তাহকলেও, গণনার এই পর্যায়ে পৌঁছে পিছিয়ে পড়েছেন তিনিও। বামেরা ২১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। প্রশান্ত কিশোরের জন সূরজ পার্টি খাতাই খুলতে পারেনি। গণনা শুরুর দিকে দু’টি আসেন এগিয়ে থাকলেও, সেই হাসি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
গত ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর বিহারে দু’দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। তিন দিনের মাথায় শুক্রবার গণনা হচ্ছে। এ বছর বিহারে নির্বাচনের ঠিক আগে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) হয়েছে। প্রায় ৩০ লক্ষ নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। দুই পর্বেই ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। প্রায় প্রতিটি বুথফেরত সমীক্ষায় এনডিএ-কে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। গণনায় সেই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।
