আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের বিজেপি শিবিরে একের পর এক বিদ্রোহী সুরের মধ্যে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। শনিবার দল ঘোষণা করেছে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী এবং আরা লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ আর কে সিং-কে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি ধারাবাহিকভাবে দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করেছেন।

আর কে সিংয়ের পাশাপাশি বিহার বিধান পরিষদের সদস্য অশোক কুমার আগরওয়াল এবং কাটিহারের মেয়র উষা আগরওয়ালকেও একই অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নির্বাচনের পর দলকে একত্রে ধরে রাখতে এবং রাজ্য ইউনিটে বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। বহিষ্কারের পাশাপাশি আর কে সিংকে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকালেই বিজেপি আর কে সিংকে একটি কড়া শো-কজ নোটিস পাঠায়। ওই নোটিসে বলা হয়, তাঁর প্রকাশ্য মন্তব্য ও আচরণে দলের ক্ষতি হয়েছে। নোটিসে লেখা ছিল, “আপনি দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। এতে দলের ক্ষতি হয়েছে। তাই আপনাকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে এবং জানাতে বলা হচ্ছে কেন আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না।” কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দল তাঁকে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা করে  দেয়।

দলের এই পদক্ষেপকে সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে অন্যতম কঠোর হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রাক্তন আমলা-থেকে-রাজনীতিক হওয়া আর কে সিং গত কয়েক মাস ধরে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন এবং সরকারি প্রকল্প নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন।

অন্যদিকে, অশোক কুমার আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নির্বাচনে ভিআইপি দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তাঁর ছেলে সৌরভ আগরওয়ালের হয়ে প্রচার করেছেন। ওই আসনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন তার কিশোর প্রসাদ। দল বলেছে, আগরওয়ালের এই আচরণ স্পষ্ট দলবিরোধী কার্যকলাপের অন্তর্ভুক্ত। এজন্য তাঁকে শো-কজ নোটিস দেওয়া হয় এবং পরে সাসপেন্ড করা হয়।

বিহারের রাজনৈতিক অন্দরে ধারণা, নির্বাচনের ধাক্কা সামলাতে এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজন ঠেকাতে বিজেপি আরও কড়া শৃঙ্খলাবিধি প্রয়োগ করতে পারে।