আজকাল ওয়েবডেস্ক: দোকান বন্ধ৷ তারপরও দোকানের কর্মীরা পানীয় দিতে না চাওয়ায় কর্মীদের উপর ভয়াবহ হামলা করা হল। মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলায় এক বারে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, দোকানের নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বারের কর্মীরা এক গ্রাহককে মদ এবং জল দিতে অস্বীকার করেন। এর জেরেই ওই কর্মীদের উপর ভয়াবহ আক্রমণ করে অভিযুক্ত।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ারোরা শহরের প্রসাদ দেশমানে-র বারে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। অভিযোগ, সময় পার হয়ে যাওয়ায় কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এক গ্রাহক। প্রথমে তিনি চলে যান সেখান থেকে৷ পরে প্রায় ৮ থেকে ১০ জন বন্ধুকে নিয়ে ফিরে এসে বারের কর্মীদের উপর হামলা চালান। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্তেরা এক কর্মীকে এলোপাথাড়ি লাথি ও ঘুষি মারছেন। এমনকী তাঁর কাছ থেকে নগদ ৭,২০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ভিডিও যত এগোতে থাকে, ঘটনা ততই ভয়ানক হয়ে দাঁড়ায়। দেখা গিয়েছে, প্রথমে এক-দু'জন লোক গাড়ি থেকে নেমে দুই বার কর্মীকে মারতে শুরু করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও কয়েক জন আক্রমণকারী বাইকে এসে হামলায় যোগ দেন। এরপর তাঁরা কর্মীদের লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করেন। অভিযোগ, কর্মীদের মাথায় আঘাত করা হয়। ভিডিওতে মোট ৮ থেকে ১০ জন ব্যক্তিকে হামলা করতে দেখা গিয়েছে।
পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার বদলে ক্রমে উত্তপ্ত হতে থাকে৷ এক পর্যায়ে তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তি রাস্তা থেকে একটি বড় পাথর তুলে নিয়ে কর্মীর উপর আঘাত করতে যান, কিন্তু পাশে থাকা অন্য একজন তাঁকে থামিয়ে দেন। কিন্তু তখনও অভিযুক্তেরা কর্মীদের মারধর থামাননি। তাঁরা একের পর এক কর্মীদের মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকেন, টেনে নিয়ে যান, আবার লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন।
মারধরের মধ্যেই এক কর্মী কোনওমতে উঠে বসার চেষ্টা করেন, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তেরা তাঁকে ঘিরে ধরে লাথি, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। শেষে ধরা পড়ার ভয়ে আক্রমনকারীরা নিজেদের গাড়ি ও বাইকে চড়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। ঘটনার জেরে বারের মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। খবর পেয়ে ওয়ারোরা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ফুটেজও।
