আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাপ বিপজ্জনক প্রাণী। বিষধর প্রাণী। সাপ কামড়ালে তৎক্ষণাৎ কর্তব্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া। কেবল ঘরোয়া প্রতিকারের উপর নির্ভর করা উচিত নয় কখনওই। তবে নির্দিষ্ট জায়গায় মানুষ বিশ্বাস করেন, এই গাছের পাতাই নাকি পাঁচ মিনিটেই নির্মূল করে সাপের বিষ। বেশকিছু গবেষণাতেও উঠে এসেছে সেই তথ্য।
সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রতি এই গাছ এবং নয়া অবিষ্কারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এমন এক গাছ, যার পাতা মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে সাপের বিষকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। প্রতি বছর হাজার হাজার সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, এই আবিষ্কার বিষাক্ত কামড়ের কার্যকর চিকিৎসায় নতুন আশার আলো জাগিয়েছে।
দেশে বর্ষা ঢুকে পড়েছে। এই সময়ে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে প্রাদুর্ভাব দেখা যায় সাপের। ঠিক তার মুখেই প্রকাশ্যে এসেছে এই নয়া তথ্য। কী বলা হচ্ছে তাতে? স্থানীয় ঝোপঝাড়ে সাধারণত পাওয়া যায় এমন একটি পাতার আয়ুর্বেদিক প্রতিকার সাপের বিষকে নিষ্ক্রিয় করে বলে তথ্য।
সর্বভারতীয় ওই সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, কিছু বিশেষজ্ঞ ইঙ্গিত দিয়েছেন, কাকোদা (কাঁটাযুক্ত লাউ) গাছ, যদি কাছাকাছি পাওয়া যায়, তাহলে জীবন বাঁচাতে পারে। আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত এই লতাটি কেবল সাপের বিষের প্রতিকারে নয়, অন্যান্য বিষাক্ত প্রাণীর বিষের বিরুদ্ধেও কার্যকর বলে দাবি। এর পাতা এবং ফল বিশেষভাবে কার্যকর। আয়ুর্বেদ দাবি করে, এই উদ্ভিদের সময়মতো এবং সঠিক ব্যবহার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সাপের বিষকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে এর পাতা এবং শিকড় থেকে তৈরি গুঁড়ো বিষের প্রভাব কমাতে পারে।
মালিজ কলেজ অফ ফার্মেসির ডঃ কুন্তল দাসের গবেষণা অ্যান্টিভেনম হিসাবে কাঁকরোল বা কাকোরা মূলের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের সমর্থনে। উষ্ণ এবং আর্দ্র অঞ্চলে পাওয়া যায়, এই উদ্ভিদটি একটি পুষ্টিকর সবজিও। এর ঔষধি গুণাবলী ব্যাপকভাবে জানা যায়নি, তবে দাবি করা হয় যে এতে অন্যান্য সবজির তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি প্রোটিন রয়েছে।
সর্বভারতীয় ওই সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, এই বিষয়ে ন্যশন্যাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ জানিয়েছে, সাপের কামড়ের পরপরই কাঁকরোল পাতা বা শিকড়ের পেস্ট লাগালে বিষের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে বলে জানা গেছে। তাজা পাতা গুঁড়ো করে রস খেলেও তা কার্যকর হয়।
