আজকাল ওয়েবডেস্ক: জুন মাসের গোড়ার দিকে বেলাগাভিতে হয়েছিল কংগ্রেসের সমাবেশ। সেই সমাবেশে হাজির ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ভরা মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) এনভি বারামনিকে চড় মারার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। জনসমক্ষে সিদ্দারামাইয়ার এই অপমান সহ্য করতে না পেরে গত ১৪ জুন স্বরাষ্ট্র দপ্তরে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন বারামনি। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ছিঃ-চিৎকার শুরু হয়। বৃহস্পতিবার নন্দী পাহাড়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর একজন সাংবাদিক সিদ্দারামাইয়াকে পুলিশকর্তার ইস্তফা নিয়ে প্রশ্ন করতেই ঘোর অস্বস্তিতে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর কী হল?
ওই ঘটনার কথা তুলে ধরে সিদ্দারামাইয়া চোয়াল শক্ত করে সাংবাদিককে বলেন, "আপনি কী বিজেপি থেকে?" এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, "যখন এই বিষয়ে সকলেই চুপ রয়েছে তখন আপনি এিসব প্রশ্ন কেন তুলছেন?'
বৃহস্পতিবার, কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিয়েছেন যে, পুলিশকর্তা বারামনির পদত্যাগ গুরুত্বহীন। তিনি আগেই স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, পুলিশকর্তা এনভি বারামনির ইস্তফা গৃহীত হবে না। বলেন, “এমন কিছু হয়নি। আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা তাঁকে ফের পুলিশেরই বড় পদে বসাবো।" তাঁর দাবি, "যা ঘটেছে তার নেপথ্যে কোনও ইচ্ছাকৃত উদ্দেশ্য ছিল না, এটি কেবল মুহূর্তের উত্তেজনা।" এমনকি মন্ত্রী এইচ কে পাতিল এবং আমিও পদত্যাগী পুলিশকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা নিশ্চিত করছি যে, ওই পুলিশকর্তা ফের পদ পাবেন।”
It is deeply saddening that Dharwad’s Additional Superintendent of Police, Narayana Baramani, who was publicly humiliated by Karnataka’s arrogant Chief Minister Siddaramaiah, has now decided to take voluntary retirement.
— Amit Malviya (@amitmalviya)
His emotional letter reads (excerpts):
Quote
At that… pic.twitter.com/ymrthmWUzjTweet by @amitmalviya
১৪ জুন বারামনি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল যে, সিদ্দারামাইয়া বারামনিকে হঠাৎ চিৎকার করে এবং থাপ্পড় মারার ইঙ্গিত বিশাল জনতা এবং সিনিয়র নেতাদের সামনে তাঁকে অপনামিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই পুলশকর্তার। অফিসারটি-র দাবি., যদিও তিনি সহজাতভাবে রাস্তা পেরিয়েছেমন, হটেন এবং দুর্ঘটনা এড়িয়ে যান। এই ঘটনা তাঁকে গভীরভাবে হতাশ করেছে এবং তাঁর পরিবারকে প্রচণ্ড কষ্ট দিয়েছে।
সরকার এখনও বারামনির স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের অনুরোধ গ্রহণ করেনি। প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, মুখ্যমন্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং তাঁকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। এই ঘটনার পর সিদ্দারামাইয়াও ব্যক্তিগতভাবে ওই অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
মন্ত্রী এম বি পাতিল মুখ্যমন্ত্রীর আচরণের পক্ষে যুক্তি সাজিয়েছেন। তিনি বললেন, “আমি পুরোটা জানি না, আমার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা দরকার। আমি এর একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলাম, আমি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী যে বারামনিকে তাকে চড় মারতে গিয়েছিলেন তা বলা ভুল, তিনি কেবল সতর্ক করে দিয়েছিলেন।”
