আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাস্তার ধারের একটি ধাবায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছে। এক ব্যক্তি তন্দুরি রুটি অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু খেতে গিয়ে তাঁর চোখ হল ছানাবড়া। গ্রাস তোলার আগেই রুটির ভিতরে একটি টিকটিকির জ্বলন্ত চোখ দেখতে পান তিনি। ব্যক্তিটির হতবাক প্রতিক্রিয়া একটি ভাইরাল ভিডিওতে ধরা পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ঘটনা।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে একজন লোক তন্দুরি রুটির টুকরো ভাঙছেন। তাঁর ভেতরে একটি ছোট টিকটিকি দেখা যাচ্ছে। এই ভয়ানক দৃশ্য দেখে দর্শকরা অবাক হয়ে গেছেন। ভিডিওটিতে একজন দর্শক মন্তব্য করেছেন, 'ধাবায় তন্দুরি রুটি খাওয়ার আগে দু'বার ভাবুন! তারা কী পরিবেশন করছে?'
ভিডিওটি লক্ষ লক্ষ ভিউ এবং হাজার হাজার মন্তব্য পেয়েছে। কেউ কেউ এটিকে হাস্যকর বলে মনে করেছে। রসিকতা করে বলেছে,'ভাই, রুটির সঙ্গে বিনামূল্যে প্রোটিন!' আবার কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাস্তার ধারের এই খাবারের দোকানগুলির স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন লিখেছেন, 'এটা জঘন্য! ধাবাগুলিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কী হচ্ছে?'
খাবারে অস্বাস্থ্যকর জিনিস পাওয়ার কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় এটি। ২০২৩ সালে, হায়দ্রাবাদের একজন গ্রাহক জোমাটোর মাধ্যমে অর্ডার করা বিরিয়ানির মধ্যে একটি মৃত টিকটিকি আবিষ্কার করেন। সেই ঘটনা ভাইরালও হয়েছিল। একইভাবে, ২০১৯ সালে নাগপুরের হলদিরামের রেস্তোরাঁয় সাম্বারে একটি টিকটিকি পাওয়া যাওয়ায় অত্যন্ত তোলপাড় হয়েছিল। খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) রান্নাঘরটি সিল করে দিতে বাধ্য হয়েছিল। এই ঘটনাগুলি খাদ্য স্বাস্থ্যবিধির গুরুতর ত্রুটিগুলিকে তুলে ধরে। বিশেষ করে রাস্তার ধারের ধাবা এবং ছোট খাবারের দোকানগুলিতে। এই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সত্যতা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। ধাবা এবং রেস্তোরাঁর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের ঝড় তুলেছে এই ঘটনা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ছোট ধাবাগুলি প্রায়শই রান্নাঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবহেলা করে। ফলে ইঁদুর, আরশোলা এবং টিকটিকি জাতীয় পোকামাকড় খাবার দূষিত করে। ২০২৪ সালে, বাগপতের গুলজার ধাবায় তন্দুরি রুটিতে থুতু ফেলতে থাকা এক ব্যক্তি ধরা পড়ার পর পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। এই ধরনের ঘটনা খাদ্য সুরক্ষাবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের দাবি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
