আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমাদের সকলের অজান্তেই ক্ষতি করে চলেছে দূষিত বায়ু। এমনকি প্রতিদিন কাজ করার প্রতি আগ্রহ ধীরে ধীরে কমিয়ে দিচ্ছে এই বায়ুদূষণ। অফিসে কাজ করার সময় খানিক কাজ করার পরই ক্লান্তি অনুভব করেন। নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুসারে নিঃশব্দ ঘাতকের মতো কাজ করে চলেছে এই বায়ুদূষণ।


বাতাসে যে ক্ষতিকর কণা থাকে তাকে আমরা নিজেদের দেহে আহরণ করছি। প্রতিদিন এর মাত্রা বাড়ছে। নিজের অজান্তেই ধীরে ধীরে কমছে আমাদের কাজ করার গতি। দেহের ভিতরের নানা অংশ যেন হার্ট, লিভার, ব্রেনের ক্ষতি করে চলেছে এই বায়ুদূষণ। এবিষয়ে গবেষকরা জানাচ্ছেন আগামী ২০ বছরের মধ্যে বায়ুদূষণের মাত্রা এতটাই বাড়বে যে সেখান থেকে সকলকে অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হবে। 


ভারতের মতো জনবহুল দেশে এমনিতেই গাড়ির সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সেখান থেকে নির্গত হওয়া ক্ষতিকর ধোঁয়া বাতাসে প্রতিদিন মিশছে। সেই ধোঁয়া থেকে যে বিষ তৈরি হয়েছে তা সরাসরি মিশছে দেহে। ফলে সেখান থেকে দেহে নানা ধরণের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে কর্মস্থলে আসছে হতাশা। অল্প কাজ করেই সেখানে অনেক বেশি এনার্জি ক্ষয় হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

 


কেবল জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বায়ুদূষণের ফলে বছরে প্রচুর মানুষের মৃত্যু ঘটে। সামগ্রিকভাবে, বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু ঘটায়। ২০০৮ সালের ব্ল্যাকস্মিথ ইনস্টিটিউট বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত স্থানের প্রতিবেদনে ঘরের ভেতরে বায়ুদূষণ এবং নিম্নমানের শহুরে বায়ুর গুণমানকে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বিষাক্ত দূষণ সমস্যা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। বায়ুদূষণ সঙ্কটের পরিধি বেশ বড়। 


যদি এই হারে চলতে থাকে তাহলে আগামীদিনে এমন পরি্স্থিতি তৈরি হবে যেখান থেকে রাস্তাঘাটে বের হলে শ্বাসকষ্ট তৈরি হবে। সেখানে অফিসে গিয়ে কাজ করা দূর। নিজের বাড়ি থেকেই কাজ করে দিন কাটাতে হবে। কাজের জন্য আমাদের দেহে যে এনার্জি তৈরি হয় তাকে অতি দ্রুত কমিয়ে দিচ্ছে এই বায়ুদূষণ।