আজকাল ওয়েবডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI171-এর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় যখন ২২৯ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য প্রাণ হারালেন, তখন অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন ৪০ বছর বয়সী ব্রিটিশ-ভারতীয় ব্যবসায়ী বিষ্ণু কুমার রমেশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বোয়িং ড্রিমলাইনারটি ভেঙে পড়ে মেঘানিনগরের বিএজে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরের আবাসনে।
১১এ সিটে বসে থাকা বিষ্ণু জানান, "আমি ভাবছিলাম মরে গেছি। কিন্তু চোখ খোলার পর দেখি বেঁচে আছি। সিটবেল্ট খুলে বেরিয়ে আসি। চোখের সামনে সবাই মারা গেল।" তাঁর সিটটি ইকোনমি ক্লাসের প্রথম সারিতে, এমার্জেন্সি এক্সিটের কাছেই ছিল। এই নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে আবার প্রশ্ন উঠেছে—বিমানযাত্রায় আদৌ কোনও 'সেফ সিট' আছে কি না।
বিমান বিশ্লেষক অঙ্গদ সিং বলেন, "এটা সম্পূর্ণ অলৌকিক ঘটনা। ১১এ আসনের অবস্থান এবং দুর্ঘটনার ধরণ অনুযায়ী ওঁর বেঁচে যাওয়া ব্যাখ্যাতীত।" দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ ও ইঞ্জিনে থ্রাস্টের ঘাটতির কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্র ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু।
