আজকাল ওয়েবডেস্ক: আম্বিট ক্যাপিটালের সর্বশেষ রিপোর্টে অষ্টম পে কমিশনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে বেতন ও পেনশনে সম্ভাব্য বৃদ্ধির জোরালো আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। ব্রোকারেজ সংস্থাটির মতে, বেতন ও পেনশনে কার্যকরভাবে ৩০% থেকে ৩৪% পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে। সংস্থাটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের সম্ভাব্য পরিসীমা থাকবে ১.৮৩ থেকে ২.৪৬-এর মধ্যে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে, এই অনুমান ২০১৫ সালে ঘোষিত সপ্তম পে কমিশনের ২.৫৭ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের তুলনায় অনেকটাই কম। প্রসঙ্গত, সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছিল। তৎকালীন ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ছিল ২.৫৭ ছিল। যার ফলে ন্যূনতম বেসিক বেতন ৭,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮,০০০ টাকায় উন্নীত হয়।

সম্প্রতি, ব্রোকারেজ সংস্থা আম্বিট ক্যাপিটালের অনুমান অনুযায়ী, যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ১.৮৩ থেকে ২.৪৬-এর মধ্যে হয়, তাহলে ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধি পেয়ে গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৩২,৯৪০ টাকা থেকে ৪৪,২৮০ টাকায়। এই হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান ১৮,০০০ টাকার বেসিক বেতনের ওপর ভিত্তি করে ১.৮৩ গুণে বেতন গিয়ে দাঁড়াবে ৩২,৯৪০ টাকা এবং ২.৪৬ গুণে বেতন দাঁড়াবে ৪৪,২৮০ টাকা। একইভাবে, যাঁদের বর্তমান বেসিক বেতন ৫০,০০০ টাকা, তাঁদের বেতন হতে পারে ৯১,৫০০ টাকা (১.৮৩ গুণে) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১.২৩ লক্ষ টাকা (২.৪৬ গুণে)। যদিও এই হিসাবে ৮৩% থেকে ১৪৬% হারে বেতন বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে, তবে কার্যত এই বৃদ্ধি কিছুটা কম হতে পারে, কারণ নতুন পে কমিশন কার্যকর হলে মহার্ঘ ভাতা পুনরায় শূন্য থেকে শুরু হয়। এই রিপোর্টে পে কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকারি মহলে যেমন কৌতূহল তৈরি হয়েছে, তেমনি কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মধ্যেও আশার সঞ্চার হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ইউপিএস নাকি এনপিএস, অবসরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সেরা পেনশন স্কিম কোনটি?

 

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের তরফ থেকে আসা এখনও বাকি।বেতন কাঠামো এবং পেনশনের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর। ষষ্ঠ বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ছিল ১.৯২। সপ্তম বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ছিল ২.৫৭। তাই অষ্টম বেতন কমিশনে এই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর যে আরও বাড়তে পারে এমনটাই আশা করছেন সকলে। যদি অষ্টম বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ৩.৮৬ হয়ে থাকে তাহলে সেখানে বেসিক বেতন থেকে শুরু করে পেনশন সবেতেই বড় প্রভাব পড়তে পারে। সমগ্র বেতন পরিকাঠামোতে এটা বিরাট পরির্তন ঘটাতে পারে। এই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের ওপর পেনশন বিশেষভাবে নির্ভরশীল হতে পারে।

১২ হাজার ৭৫০ টাকার রিভাইসড পেনশনে যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ থাকে তাহলে পেনশন হবে ৩২ হাজার ৭৬৭ টাকা। যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৮৬ থাকে তাহলে পেনশন হবে ৩৬ হাজার ৪৬৫ টাকা। ১৭ হাজার ৭০০ টাকার রিভাইসড পেনশনে যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ থাকে তাহলে পেনশন হবে ৪৫ হাজার ৪৮৯ টাকা। যদি ফিটমেন্ট থাকে ২.৮৬ তাহলে পেনশন হবে ৫০ হাজার ৬২২ টাকা। ২৮ হাজার ৫০ টাকার রিভাইসড পেনশনে যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ থাকে তাহলে পেনশন হবে ৭২ হাজার ৮৮ টাকা।

যদি ২.৮৬ থাকে তাহলে হবে ৮০ হাজার ২২৩ টাকা। ৩৯ হাজার ৪০০ টাকার রিভাইসড পেনশনে যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ থাকে তাহলে পেনশন হবে ১ লাখ ১ হাজার ২৫৮ টাকা। যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৮৬ থাকে তাহলে পেনশন হবে ১ লাখ ১২ হাজার ৬৮৪ টাকা। ৫৯ হাজার ২৫০ টাকার রিভাইসড পেনশনে যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ থাকে তাহলে পেনশন হবে ১ লাখ ৫২ হাজার ২৭২ টাকা। যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৮৬ থাকে তাহলে পেনশন হবে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫৫ টাকা। ৬৫ হাজার ৫৫০ টাকার রিভাইসড পেনশনে যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর থাকে ২.৫৭ তাহলে পেনশন পাবেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৬৩ টাকা। যদি ফিটমেন্ট থাকে ২.৮৬ তাহলে পেনশন পাবেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৩ টাকা।