আজকাল ওয়েবডেস্ক: 

রবিবার সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে ২ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যেরও। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ জন জওয়ান। বিজাপুরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এক সপ্তাহ আগেই মাওবাদীদের সংঘর্ষ ঘটেছিল। তখন ৮ মাওবাদীর প্রাণহানি হয়েছিল। 

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ছত্তিশগড় পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন , ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্র সীমান্তে ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার জঙ্গলে নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল নকশাল বিরোধী অভিযানে গিয়েছিল। জওয়ানদের দেখা মাত্রই গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে বাহিনীও। তাতেই নিহত ১২ মাওবাদী। 

ওই পুলিশ আঝধিকারিকের কথায়, জেলা রিজার্ভ গার্ড এবং রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ) এবং এই বাহিনীর এলিট ইউনিট কোবরা (কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশন)-র সদস্যরা গত শুক্রবার বিজাপুরের জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের 'পশ্চিম বাস্তার ডিভিশন'-এর ক্যাডারদের উপস্থিতির তথ্য পাওয়ার পর এই অভিযান শুরু করেন। বস্তার পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মাওবাদীদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এনকাউন্টার সাইট থেকে প্রচুর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ছত্তিশগড়ে বিভিন্ন এনকাউন্টারে ৬০ জনেরও বেশি মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে। 

২০২৬ সালের মধ্যে নকশালবাদের অবসানের সংকল্প রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।  এই অভিযান কেন্দ্রীয় সরকারের সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এ। গত ৬ জানুয়ারি ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীরা আইইডি ব্যবহার করে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি উড়িয়ে দেওয়ায় ৮ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) জওয়ান এবং একজন চালক নিহত হয়েছিলেন। সেই সময় "নকশালবাদ অবসান" সংকল্পের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখে শোনা গিয়েছিল।