আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাম্প্রতিক গবেষণা এবং শারীরিক গঠন সংক্রান্ত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, বাম দিকে ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস একাধিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকলাপ এবং রক্ত সঞ্চালনের সঙ্গে এর গভীর যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
লসিকাতন্ত্রের উন্নতি: রক্তের মতোই শরীরে আরও এক প্রকার দেহতরল থাকে, যাকে লসিকা বলে। শরীরের এই লসিকা বহনকারী প্রধান নালী, থোরাসিক ডাক্ট দেহের বাম দিকে অবস্থিত। তাই বাম দিকে ফিরে শুলে লসিকা প্রবাহ ভাল হয়, যা শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
বুকজ্বালা ও অম্বল হ্রাস: বাম দিকে ফিরে ঘুমালে পাকস্থলী খাদ্যনালীর নিচে থাকে। এর ফলে পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরের দিকে উঠে আসতে পারে না, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা জিইআরডি-এর মতো সমস্যার উপসর্গ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর।
নাক ডাকা ও স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ন্ত্রণ: এই অবস্থানে শ্বাসনালী উন্মোচিত থাকে, যা নাক ডাকা কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি উপকারী।
প্লীহার কার্যকারিতা বৃদ্ধি: শরীরের বাম দিকে অবস্থিত প্লীহা রক্ত ও লসিকা পরিশোধন করে। বাম দিকে ফিরে শুলে মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে প্লীহার এই কাজটি সহজতর হয়।
যকৃৎ ও পিত্তরসের প্রবাহে সহায়তা: ডান দিকে থাকা যকৃৎ বা লিভার এই ভঙ্গিমায় কিছুটা উঁচু অবস্থানে থাকে। এর ফলে পিত্তরসের প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে এবং যকৃতে অহেতুক চাপ পড়ে না।
হৃদযন্ত্রের উপর চাপ হ্রাস: বাম দিকে ফিরে ঘুমালে হৃদপিণ্ডের উপর চাপ কমে এবং সারা শরীর থেকে রক্ত হৃদপিণ্ডে ফিরে আসার প্রক্রিয়া বা ব্লাড সার্কুলেশন আরও মসৃণ হয়, যা সামগ্রিক ভাবে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য হিতকর।
