আজকাল ওয়েবডেস্ক: বয়স কিছুটা বাড়লেই অনেকে মূত্র বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেন না। সাধারণত স্ফিংটার পেশি অর্থাৎ যে পেশি বন্ধ হলে মূত্র নির্গমন বন্ধ হয়, সেই পেশি দুর্বল হয়ে গেলে এই সমস্যা হয়। মূত্র নিয়ন্ত্রণের সমস্যায় কিছু যোগাসন উপকারী হতে পারে, তবে মনে রাখা জরুরি যে এগুলো কোনও চিকিৎসা নয় এবং কোনও গুরুতর সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিভিন্ন আসন মূত্রাশয় এবং পেলভিক ফ্লোরের পেশি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
 
 
 আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
মালাসন: এই আসনটি পেলভিক অঞ্চলের পেশীগুলোকে প্রসারিত করে এবং শক্তিশালী করে। নিয়মিত অভ্যাসের মাধ্যমে মূত্রাশয়ের নিয়ন্ত্রণ উন্নত হতে পারে। আসনটি করতে চাইলে প্রথমে পা দুটো সামান্য ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। হাঁটু এবং কোমর ভাঁজ করে এমনভাবে নিচে বসুন যেন আপনার নিতম্ব পায়ের গোড়ালির কাছাকাছি থাকে। পায়ের পাতা মাটিতে সমান্তরালভাবে রাখুন। দুই হাত বুকের সামনে নমস্কারের ভঙ্গিতে আনুন। কনুই দিয়ে ভেতরের দিকে হাঁটুতে চাপ দিন, যা আপনার পেলভিক অঞ্চলকে আরও প্রসারিত করবে। মেরুদণ্ড সোজা রাখুন এবং দৃষ্টি সামনে স্থির করুন। এই অবস্থানে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকুন এবং ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ান।
 
 
 আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় মরেননি, জেতেন ৫ কোটির লটারি! সাতবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা বিশ্বের সবচেয়ে ‘লাকি’ ব্যক্তি ইনি
সেতুবন্ধাসন: সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন এবং হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন। পায়ের পাতা যেন নিতম্বের কাছাকাছি থাকে। হাত দুটো শরীরের পাশে মাটিতে সোজা করে রাখুন। শ্বাস নিতে নিতে কোমর এবং পিঠ মাটি থেকে উপরে তুলুন। আপনার শরীর যেন কাঁধ থেকে হাঁটু পর্যন্ত একটি সরলরেখা তৈরি করে। পেলভিক পেশি সংকুচিত করে রাখুন। এই অবস্থানে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকুন এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ধীরে ধীরে কোমর মাটিতে নামিয়ে আনুন। এই আসন পেলভিক ফ্লোর এবং পেটের পেশী শক্তিশালী করে। মূত্রাশয়ের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। মেরুদণ্ড এবং নিতম্বের পেশি প্রসারিত করে।
সুপ্ত বদ্ধকোনাসন: এই আসনটি পেলভিক অঞ্চলে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং মূত্রাশয়ের স্নায়ুগুলিকে শান্ত করে, যা মূত্র নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। আসনটি করতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু দুটো ভাঁজ করে পায়ের পাতা দুটোকে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করুন। হাঁটু দুটোকে যতটা সম্ভব মাটির কাছাকাছি নিয়ে যান। হাত দুটো শরীরের পাশে অথবা মাথার উপরে ছড়িয়ে রাখতে পারেন। চোখ বন্ধ করে আরাম করুন এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বজায় রাখুন। এই অবস্থানে ১-৫ মিনিট পর্যন্ত থাকতে হবে। ধীরে ধীরে হাঁটু দুটো সোজা করে বিশ্রাম নিন।
