আজকাল ওয়েবডেস্ক: লিভার সুস্থ রাখতে চটজলদি স্ন্যাকসই যথেষ্ট, তবে চাই সঠিক পছন্দ। হার্ভার্ড-প্রশিক্ষিত লিভার ও গাট বিশেষজ্ঞ ড. সৌরভ সেঠী জানিয়েছেন, প্রতিদিনের কিছু ছোট কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত খাদ্য-চয়নেই লিভারের জটিলতা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

১. খেজুর ও আখরোট: মিষ্টি আর কড়মড়ে জুটি

খেজুরে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার হজমকে ধীরে করে, লিভারে ফ্যাট জমা কমায়। অন্যদিকে আখরোটে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমায়। সপ্তাহে দু’বার ২টি খেজুর ও এক মুঠো আখরোট খাওয়াই যথেষ্ট।

 

২. ডার্ক চকোলেট ও বাদাম: শক্তির সাথে সুরক্ষা

৭০ শতাংশ বা তার বেশি কোকোযুক্ত ডার্ক চকোলেট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়ক। এর সাথে ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ আমন্ড বা পিস্তাবাদাম লিভার কোষ রক্ষা করে। সপ্তাহে এক বা দু’বার এই যুগল উপভোগ করা যেতে পারে।

 

৩. আপেল, মধু ও দারচিনি: মরসুমি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস

আপেলে থাকা পেকটিন চর্বি আটকাতে সাহায্য করে, কাঁচা মধু উপকারী গাট ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে এবং দারচিনি প্রদাহ কমায়। ঠান্ডা বা গরম—যেকোনোভাবেই উপভোগযোগ্য এই স্ন্যাকস।

 

৪. গ্রিক দই বা ঘরের তৈরি দইয়ের সঙ্গে বেরি: গাট-লিভার জোট

গ্রিক দই বা দেশীয় দই প্রোবায়োটিক ও প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা হজম ও লিভার ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর সঙ্গে ব্লুবেরি বা স্ট্রবেরির মতো বেরি মিশিয়ে খেলে ভিটামিন সি ও পলিফেনলসের বাড়তি সুবিধা মেলে।

এই স্ন্যাকসগুলি যথার্থ কাজ করে শুধুমাত্র যখন সেগুলির সাথে থাকে নিয়মিত শরীরচর্চা ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের বদলে শস্য, ফলমূল, ও শাকসবজির অভ্যাস। এমন খাদ্যাভ্যাসই ধীরে ধীরে ও স্বাভাবিকভাবে ফ্যাটি লিভার রোধে সাহায্য করে।