আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ধমনীর ভিতর ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল জমতে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। অনেকেই এর জন্য নিয়মিত ওষুধ খান। তবে শুধুমাত্র ওষুধ নয়, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, বিশেষ করে রাতের খাবার, এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা রাতে খেলে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ‘ধরবে নাকি?’ পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন প্রযোজক! টাকার বিনিময়ে সঙ্গমও করেন কামসূত্রের নায়িকা?
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত বীর্যপাতে মৃত্যু! শুক্রাণু দান করার নেশায় ডাক্তারি পড়ুয়ার করুণ পরিণতি জানলে চোখে জল আসবে
১। বাদাম: বাদাম বলতে কিন্তু চিনাবাদাম নয়। বা বলতে আমন্ড ও আখরোট। এগুলিতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তের ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ‘ভাল’ কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
২। ওটস: রাতের খাবারে বা শোয়ার আগে অল্প পরিমাণে ওটস খেতে পারেন। এতে বিটা-গ্লুক্যান নামক দ্রবণীয় ফাইবার শরীর থাকে। এটি কোলেস্টেরল বের করে দিতে অত্যন্ত কার্যকর।
৩। রসুন: রসুনের মূল উপাদান অ্যালিসিন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রাতের খাবার খাওয়ার সময় পাতে দুই-এক কোয়া রসুন রাখলে উপকার মিলতে পারে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
৪। ডাল ও বিনস: মুসুর, ছোলা বা রাজমার মতো ডালে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এই ফাইবার অন্ত্রে কোলেস্টেরলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাকে শরীর থেকে বার করে দেয়। ফলে দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের প্রভাব কিছুটা হলেও হ্রাস পায়।
৫। পালং: পালং শাক এবং বাংলার অন্যান্য ধরনের শাকে লুটেইন এবং ক্যারোটিনয়েড থাকে। এই উপাদানগুলি ধমনীর প্রাচীরে কোলেস্টেরল জমা হতে বাধা দেয়। ফলে রক্তনালী সাফ থাকে।
৬। মেথি: মেথি প্রকৃতির এক অমূল্য দান। মেথি দানা বা শাক, দু’টিই শরীরের জন্য উপকারী। এতে স্যাপোনিন নামক যৌগ থাকে, যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়। রাতে মেথি ভেজানো জল পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৭। সামুদ্রিক মাছ: স্যামন, ম্যাকেরেল কিংবা বাঙালির অতি প্রিয় ইলিশের মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানটি রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এবং সার্বিক ভাবে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৮। সয়াবিন: সয়া দুধ বা টোফুর মতো সয়াজাত দ্রব্য ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কমানোর জন্য পরিচিত। রাতের খাবারের তালিকায় এগুলি রাখলে তা শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে।
৯। ইসবগুল: অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ইসবগুল খান। কিন্তু জানেন কি এটি কোলেস্টেরল কমাতেও উপযোগী! এতে থাকা ঘন দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল কমানোর এক অব্যর্থ উপাদান। রাতে শোয়ার আগে জলে গুলে ইসবগুল খেলে তা হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীর থেকে কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে।
