আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুরুষদের যৌনজীবনে অন্যতম প্রধান সমস্যা ‘ইরেকটাইল ডিসফাংশন’ বা লিঙ্গ শিথিলতা। এই সমস্যায় উত্তেজনার মুহূর্তে ঠিক মতো কাজ করে না পুরুষাঙ্গ। কখনও সুঠাম হয় না, কখনও বা অল্প স্বল্প উত্থিত হয়। ফলে নারী-পুরুষ কারও জন্যেই সুখের হয় না মিলন। তবে এবার আর এই সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না, শেষ হতে পারে এই সংক্রান্ত উদ্বেগের দিন। এমনটাই আশা বিজ্ঞানীদের একাংশের। সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানপত্রিকা ‘নেচার’- এ প্রকাশিত হয়েছে এমন এক গবেষণার কথা যা সমাধান করতে পারে পুরুষদের যৌনাঙ্গ সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যার।
আরও পড়ুন: ‘স্তনদুগ্ধ আইসক্রিম’ খেতে হুড়োহুড়ি বড়দেরও! কত দাম? কোথায় পাওয়া যাবে এই স্বাদ?
৪ মার্চ ‘নেচার’ পত্রিকার বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রকাশিত এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা পুরুষাঙ্গের অনুরূপ ‘৩ডি-প্রিন্টেড ইমপ্লান্ট’ বা কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। যা ‘ইরেকটাইল ডিসফাংশন’ বা পুরুষাঙ্গের উত্থান সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘স্তনদুগ্ধ আইসক্রিম’ খেতে হুড়োহুড়ি বড়দেরও! কত দাম? কোথায় পাওয়া যাবে এই স্বাদ?
এই গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল এমন একটি ৩ডি-প্রিন্টেড ইমপ্লান্ট তৈরি করা, যা প্রাকৃতিক লিঙ্গের মতোই কাজ করবে এবং ইরেকটাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে। গবেষকরা হাইড্রোজেল নামক একটি বিশেষ উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করেছেন এমনই এক কৃত্রিম লিঙ্গ। হাইড্রোজেল এমন একটি উপাদান, যা জল শোষণ করতে পারে এবং মানবদেহের পেশির মতোই নমনীয়। ৩ডি-প্রিন্টিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এই হাইড্রোজেলকে ব্যবহার করেই পুরুষাঙ্গের আকার দেওয়া হয়েছে। ফলে এবার থেকে এই ইমপ্ল্যান্ট বা কৃত্রিম লিঙ্গ ব্যবহার করতে পারবেন রোগীরা।
আরও পড়ুন: ‘স্তনদুগ্ধ আইসক্রিম’ খেতে হুড়োহুড়ি বড়দেরও! কত দাম? কোথায় পাওয়া যাবে এই স্বাদ?
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গবেষকরা ইতিমধ্যেই  খরগোশ এবং শূকরের শরীরে এই ৩ডি-প্রিন্টেড লিঙ্গের কিছু অংশ প্রতিস্থাপন করেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেখা যায়, প্রতিস্থাপিত অংশগুলি স্বাভাবিক লিঙ্গের মতোই কাজ করছে। যে পশুগুলি আগে সঙ্গম করতে পারছিল না। তারাও যৌন সঙ্গম এবং বংশবৃদ্ধিতে সক্ষম হচ্ছে। গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, ইমপ্লান্ট করা টিস্যুগুলির মধ্যে এন্ডোথেলিয়াল কোষ জন্মাতে পারে। এই কোষ রক্তনালীগুলির ভেতরের স্তর তৈরি করে এবং রক্ত প্রবাহে সহায়তা করে। ফলে শরীরের স্বাভাবিক অঙ্গের মতোই কাজ করে এই প্রতিস্থাপিত লিঙ্গ। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে মানুষের দেহেও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা লিঙ্গ পক্ষাঘাতে অসাড় হয়ে গেলেও তার চিকিৎসায় এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিজ্ঞানীদের আশা, শুধু যৌনাঙ্গ নয়, ভবিষ্যতে মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করতে পারে এই গবেষণা। অর্থাৎ হয়তো অন্যান্য অঙ্গ কৃত্রিম ভাবে তৈরি করতেও ব্যবহার করা যাবে এই উপাদান। তবে, একথাও মাথায় রাখতে হবে যে এই পদ্ধতি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং মানুষের উপর প্রয়োগের আগে আরও বেশি গবেষণা প্রয়োজন।