আজকাল ওয়েবডেস্ক: রোজ সকালে উঠে কাজে বেরোনোর আগে কিংবা অফিসে ঢুকেই এক কাপ গরম গরম ব্ল্যাক কফি পান করেন অনেকে। স্বাভাবিক ভাবেই গরম গরম কফি খেলে ঘুমের রেশ কেটে যায়। তাই ক্রমশ বিষয়টি অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু রোজ রোজ ব্ল্যাক কফি পান করা কি ভাল? রোজ কফি খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরণের প্রভাব পড়তে পারে। কিছু প্রভাব ইতিবাচক, আবার কিছু প্রভাব নেতিবাচক। 

ইতিবাচক প্রভাব:
 * শক্তি বৃদ্ধি: ব্ল্যাক কফিতে ক্যাফেইন থাকে, যা স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে এবং শক্তির মাত্রা বাড়ায়। ফলে, সকালের ক্লান্তি দূর হয় এবং কাজের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসাহ পাওয়া যায়।
 * মনকে তরতাজা করে: ক্যাফেইন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
 * ওজন কমাতে সাহায্য করে: ব্ল্যাক কফি বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি ক্ষুধা কমাতে এবং ফ্যাট বার্ন করতেও সাহায্য করে।
 * অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস: ব্ল্যাক কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এটি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

নেতিবাচক প্রভাব:
 * ঘুমের ব্যাঘাত: ব্ল্যাক কফিতে থাকা ক্যাফেইন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ক্যাফেইন যেহেতু স্নায়ুকে উত্তেজিত করে তাই নিয়মিত ব্ল্যাক কফি খেলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
 * পেটের সমস্যা: ব্ল্যাক কফি পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে পারে, যার ফলে বুক জ্বালা বা পেটের অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
 * মানসিক চাপ বৃদ্ধি: অতিরিক্ত ক্যাফেইন মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ বাড়াতে পারে।
 * আসক্তি তৈরি: নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান করলে শরীরে ক্যাফেইনের উপর আসক্তি তৈরি হতে পারে। ফলে, কফি পান না করলে মাথা ব্যথা বা ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
 * হাড়ের ক্ষতি: অতিরিক্ত ব্ল্যাক কফি পান করলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে পারে, যা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

এছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং যাঁদের ঘুমের সমস্যা আছে, তাঁদের ব্ল্যাক কফি পান করা উচিত নয়। তাছাড়া যদি কোনও বিশেষ স্বাস্থ্যসমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।