আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওয়ার্ক ফ্রম হোম হোক বা অফিসের একটানা ডেস্ক জব, ঘাড় কম্পিউটারের দিকে সামান্য ঝুঁকে, দুই কাঁধ সামনের দিকে, আর শিরদাঁড়াটা যেন উটের পিঠ! আজকের চাকুরিজীবীদের শারীরিক ভঙ্গি দেখলে লজ্জা পেতেন অষ্টবক্র মুনিও। 
দিনের পর দিন শরীরের এহেন ভুল ভঙ্গি নীরবে এক মহামারীর আকার নিচ্ছে, যা জন্ম দিচ্ছে একাধিক গুরুতর রোগের।
১. ব্যথা যখন নিত্যসঙ্গী
ভুল ভঙ্গির সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রথম উপসর্গ হল ব্যথা বেদনা। মূলত ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠের পেশিগুলির ওপর অস্বাভাবিক চাপ পড়ার ফলে সেগুলি শক্ত হয়ে যায়। ফলস্বরূপ, মাথা ঘোরা, কাঁধ ও ঘাড়ে একটানা যন্ত্রণা এবং ‘টেনশন হেডেক’ বা মাথাব্যথা নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। এই ব্যথা ক্রমশ কোমর এবং নিতম্বেও ছড়িয়ে পড়ে।
২. মেরুদণ্ডের দফারফা
আমাদের মেরুদণ্ড স্বাভাবিকভাবে ইংরেজি ‘এস’ অক্ষরের মতো। কিন্তু একটানা ঝুঁকে কাজ করলে এই স্বাভাবিক বক্রতা নষ্ট হয়ে যায়। মেরুদণ্ডের দু’টি কশেরুকার মাঝখানে যে নরম ডিস্ক বা প্লেট থাকে, তার উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এই চাপ থেকেই ‘স্লিপড ডিস্ক’-এর মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে।
৩. শ্বাসকষ্ট ও হজমের গোলযোগ
শুনতে অবাক লাগলেও, কুঁজো হয়ে বসার অভ্যাস সরাসরি আমাদের ফুসফুস এবং পাচনতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। শরীর সামনের দিকে ঝুঁকে থাকলে পাঁজরের খাঁচা ঠিকমতো প্রসারিত হতে পারে না, ফলে ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা কমে যায়। এতে শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে, যা থেকে ক্লান্তি ও আলস্য বাড়ে। একইসঙ্গে, পেটের ওপর চাপ পড়ায় গ্যাস, অম্বল বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
৪. স্নায়ুর ওপর মারাত্মক চাপ
মেরুদণ্ডের ভিতর দিয়েই সুষুম্না কাণ্ড যায়। তাই মেরুদণ্ডের ক্ষতি মানেই স্নায়ু বা নার্ভের ক্ষতি। আর স্নায়ুর রোগ একবার দেখা দিলে তার নিরাময় খুবই কঠিন।