আজকাল ওয়েবডেস্ক: ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যৌথভাবে এক অভিনব জীবন্ত ‘ট্যাটু’ তৈরি করেছেন। গবেষকদের দাবি, কোনও রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগেই এই ট্যাটু সংক্রমণ শনাক্ত করতে সক্ষম। ফলে অসুস্থ হওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাবধান হতে পারবেন।
গবেষকরা জানাচ্ছেন এই ট্যাটুটি আদতে এক ধরনের বায়োসেন্সর। এর মূল উপাদান হলো জিনগতভাবে পরিবর্তিত ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া। ত্বকের জন্য সম্পূর্ণ এই ব্যাকটিরিয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। হাইড্রোজেল নামের এক উপাদানের মাধ্যমে এই ব্যাকটিরিয়া ত্বকের উপর স্থাপন করা হয়।
শরীরে যখন প্রদাহ হয়, তখন দেহ বেশ কিছু সঙ্কেত দেয় যা খালি চোখেঁদেখা যায় না। যেমন, মানবশরীরে আইএল-৬ নামক একটি উপদন্তাকে যা কোনও ব্যাকটেরিয়াজনিত টক্সিনের সংস্পর্শে এলেই বার্তা দেয়। ট্যাটুর ব্যাকটেরিয়াগুলিকে এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে যাতে সেগুলি এই উপাদানগুলি শনাক্ত করতে পারে।
এই উপাদানগুলি রক্ত বা ঘামের মাধ্যমে ট্যাটু-ব্যাকটেরিয়ার কাছে এলেই সেই ট্যাটু থেকে সবুজ ফ্লুরোসেন্ট আভা বিচ্ছুরিত হয়। এর মাধ্যমে সেপসিস, মূত্রনালির সংক্রমণ এবং ফুড পয়জনিং-এর মতো রোগের প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
গবেষণায় জানানো হয়েছে, এই অত্যাধুনিক ট্যাটুর প্রাথমিক পরীক্ষাতে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ফল মিলেছে। গবেষকদের পরবর্তী লক্ষ্য হল, এই প্রযুক্তির সঙ্গে ওয়্যারলেস সংযোগ ব্যবস্থা যুক্ত করা, যার মাধ্যমে সংক্রমণের সতর্কবার্তা সরাসরি স্মার্টফোনে পাঠানো সম্ভব হবে। এই প্রযুক্তি দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা ক্রীড়াবিদদের শারীরিক ক্লান্তির মতো বিষয়গুলির পর্যবেক্ষণে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
