চিকিৎসকেদের মতে, প্রত্যেক লিভারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চর্বি থাকে। সেই চর্বি মাত্রাতিরিক্ত জমে গেলে, তখন তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাটি লিভারের অসুখ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, মদ্যপান করলেই শুধুমাত্র এই অসুখ হয়। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়, মত চিকিৎসকদের।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। আর এই রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে লিভার সিরোসিসের মতো মারণ ব্যাধি। সেক্ষেত্রে রোজের খাদ্যাতালিকায় কয়েকটি খাবার রাখলেই এড়াতে পারবেন লিভারের সমস্যা।
১. আখরোটঃ ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটযুক্ত আখরোট অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। নিয়মিত আখরোট খেলে লিভারে চর্বি কমে এবং বিপাক কার্যকারিতা ঠিক থাকে।
২. এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলঃ গুড ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল লিভারে চর্বি ও প্রদাহ কমায় এবং ইনসুলিন-সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে।
৩. টফুঃ সয়াবিন থেকে তৈরি উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিন হল টফু। এই ধরনের প্রোটিন লিভারে চর্বি জমা কমাতে ও এনজাইমের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক।
৪. রসুনঃ রান্নার সাধারণ একটি উপাদান হলেও, রসুনের ফাইটোকেমিক্যালস লিভারে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে, ডিটক্স প্রক্রিয়া সক্রিয় করতে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫. কফিঃ যারা ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন, তাদের জন্য অন্যতম কার্যকর পানীয় হতে পারে কফি। এটি লিভার উৎসেচক লেভেল কমাতে পারে। তবে লিভার ভাল রাখতে চিনিযুক্ত কফি খেলে চলবে না।
৬. ওটসঃ ওটসে বিটা-গ্লুকান সমৃদ্ধ ফাইবার রয়েছে এবং এটি কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক পাশাপাশি অন্ত্র ও লিভার উভয়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। নিয়মিত ওটস খেলে লিভারে চর্বি কমে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৭. গ্রিন টিঃ ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টযুক্ত এই চায়ে প্রতিদিন ২-৩ কাপ খেলে লিভার এনজাইম প্রোফাইল বাড়ে এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে ফ্যাট কমাতে সহায়ক হতে পারে।
৮. অ্যাভোকাডোঃ ভাল ফ্যাট, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মিশ্রিত এই ফলটি লিভারে চর্বি কমাতে এবং ফ্যাটকে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করে। এছাড়া গ্লুটাথায়ন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রাও বাড়ায়, যা লিভারের ডিটক্সিফাইং কাজে সহায়ক।
৯. বেরিঃ ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাসবেরি-এই ধরনের ফলের মধ্যে রয়েছে পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা লিভারে স্ট্রেস ও প্রদাহ কমাতে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এই সব ফল খেলে লিভার স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
