আজকাল ওয়েবডেস্ক: চারদিকে যা দূষণ, তাতে আলাদা করে ধূমপান করার দরকার নেই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনবরত বৃষ্টি। ফলে সর্দি কাশির সমস্যাও এখন ঘরে ঘরে। সব মিলিয়ে ভরা শ্রাবণে চাপ বাড়ছে ফুসফুসের উপর। আর ফুসফুস ঠিকমতো কাজ না করলে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু কথায় কথায় ওষুধ খেলে দেখা দিতে পারে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই ফুসফুস ভাল রাখতে তাই ভরসা রাখুন যোগাভ্যাসে। রইল তিনটি আসনের বিবরণ যা ভাল রাখতে পারে ফুসফুস।
আরও পড়ুন: ৮৫ বছর বয়সে মাধ্যমিকে বসেও ফের অকৃতকার্য! ইনিই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক স্কুলছাত্র
ভুজঙ্গাসন
১. প্রথমে পেটের উপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন।
২. পা দুটো সোজা করে রাখুন এবং পায়ের পাতা মেঝের দিকে মুখ করে রাখুন।
৩. হাতের তালু কাঁধের ঠিক নিচে মেঝের উপর রাখুন। কনুই আপনার শরীরের কাছাকাছি রাখুন।
৪. শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে আপনার মাথা এবং বুক মাটি থেকে উপরে তুলুন। আপনার নাভি যেন মেঝের সঙ্গে লেগে থাকে।
৫. হাত সোজা রাখুন এবং মেরুদণ্ডকে বাঁকিয়ে উপরের দিকে ধরে রাখুন। কাঁধ শিথিল রাখুন এবং মুখ সামনের দিকে সোজা রাখুন।
৬. এই অবস্থানে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকুন এবং স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে থাকুন।
৭. শ্বাস ছাড়ুন এবং ধীরে ধীরে আপনার বুক এবং মাথা মেঝের দিকে নামিয়ে আনুন।
আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
মৎস্যাসন
১. প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন।
২. পা দুটো সোজা করে রাখুন এবং হাত শরীরের পাশে রাখুন।
৩. হাতের তালু আপনার নিতম্বের নিচে রাখুন, তালু নিচের দিকে মুখ করে থাকবে।
৪. শ্বাস নিন এবং বুক ও মাথা মাটি থেকে উপরে তুলুন, এই সময় পিঠ ধনুকের মতো বাঁকাতে হবে।
৫. ধীরে ধীরে মাথার তালু মেঝের উপর রাখুন। এতে আপনার গলা প্রসারিত হবে।
৬. পা এবং নিতম্ব মেঝের উপর স্থির রাখুন।
৭. এই অবস্থানে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকুন এবং ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে থাকুন।
৮. শ্বাস ছাড়ুন এবং ধীরে ধীরে আপনার শরীর মেঝেতে নামিয়ে আনুন।
ত্রিকোণাসন
১. প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং দু'পায়ের মধ্যে প্রায় তিন থেকে চার ফুটের দূরত্ব রাখুন।
২. ডান পা ৯০ ডিগ্রি এবং বাম পা সামান্য ভিতরের দিকে ঘোরান।
৩. এবার হাত দু'টো কাঁধের উচ্চতায় দুপাশে সোজা করে ছড়িয়ে দিন।
৪. শ্বাস ছাড়ুন এবং ধীরে ধীরে ডান হাত দিয়ে বাম পায়ের পাতা অথবা স্পর্শ করার জন্য নিচের দিকে ঝুঁকুন। আপনার বাম হাত উপরের দিকে সোজা করে তুলুন।
৫. এই সময় আপনার দৃষ্টি আপনার বাম হাতের দিকে থাকবে।
৬. আপনার শরীর যেন একদিকে বাঁকানো থাকে, সামনের দিকে বা পিছনের দিকে ঝুঁকে না থাকে।
৭. এই অবস্থানে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকুন এবং স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে থাকুন।
৮. শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে সোজা হয়ে দাঁড়ান।
৯. একইভাবে বাম দিকেও করুন।
তবে মনে রাখবেন এই আসনগুলি কিন্তু ওষুধের বিকল্প নয়। তাই শ্বাসকষ্ট বা অতিরিক্ত সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি আসন করার সময় যদি কোনও অসুবিধা অনুভব করেন, তবে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করুন এবং প্রয়োজনে যোগ প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিন।
