আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডায়াবেটিস রোগীদের অনেকেই ভাবেন সুস্বাদু কোনও ফল খেলেই বুঝি তাঁদের ‘সুগার’ বেড়ে যাবে। এই ধারণা সব ক্ষেত্রে ঠিক নয়। বরং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ কিছু ফল খাওয়া উপকারী। তবে কোন ফল খাবেন, কতটা পরিমাণে খাবেন, কখন খাবেন - এই সব বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
ফল খাওয়ার সময় কিছু কথা মাথায় রাখতে হবে। প্রথম বিষয়টি হল ফলের পরিমাণ। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন ১০০-১৫০ গ্রামের বেশি ফল খাওয়া উচিত নয়। কোন ফল খাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স দেখে। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল খাওয়া ভাল রোগীদের জন্য। পাশাপাশি ফলের রসের পরিবর্তে গোটা ফল খাওয়া ভাল। কারণ রস করে খেলে ফলের ভিতরে থাকা ফাইবার ভেঙে যায়। ফাইবার এমন একটি উপাদান যা থাকলে হজম প্রক্রিয়ায় গতিতে সামঞ্জস্য থাকে। ফলে হঠাৎ করে আচমকা দেহে শর্করার পরিমাণ বাড়ে না।
গ্রীষ্মকালে ডায়াবেটিস রোগীরা কিছু ফল পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন। এখানে কয়েকটি ফলের তালিকা এবং তাদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স দেওয়া হল-
১. জাম: জামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ২৫, যা বেশ কম। তাই জাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া জামে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
২. পেয়ারা: মধুমেহ রোগে ভোগে ব্যক্তিরা পেয়ারাও খেতে পারেন। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ১২, যা খুবই কম। পাশাপাশি পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন সি-এরও ভাল উৎস।
৩. আপেল: আপেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৩৬। অন্যান্য ফলের তুলনায় বেশ কম। আপেলে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
যে ফলগুলি এড়িয়ে চলা উচিত বা কম খাওয়া উচিত: আম, কলা, আনারস তরমুজ কিংবা কাঁঠালের মতো ফলে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও বেশি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এই সব ফল এড়িয়ে চলতে হবে।
মনে রাখবেন, ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকা ব্যক্তিগত অবস্থার উপর নির্ভর করে। তাই, একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে সঠিক খাদ্যতালিকা তৈরি করা উচিত। তাঁর পরামর্শ মেনেই ফল খাওয়া উচিত।
