আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ অর্থাৎ বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ করার এখন প্রবণতা বিশ্বজুড়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিকে অথনৈতিক দিক থেকে বিষয়টি সাশ্রয়ী। আবার এতে যাতায়াতের ধকল পোহাতে হয় না কর্মীদের। ফলে পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ মেলে। তাই বিশ্বজুড়ে বহু সংস্থা এখন এই দিকে ঝুঁকছে। এই নতুন কাজের ধারায় কিছু সুবিধা থাকলেও, রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও, যা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত।
আরও পড়ুন: ১২ কেজির বিশাল স্তন! ফিট হয় না কোনও জামা! কেন এমন হল? তরুণীর কষ্ট শুনলে চোখে জল আসবে
১. বাড়িতে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, কাজের উপযুক্ত টেবিল চেয়ার থাকে না। ফলে দীর্ঘক্ষণ খাটে বা সোফাতে বসে একই ভঙ্গিতে কাজ করে যেতে হয়। এর ফলে কোমর, ঘাড় ও পিঠের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। আর একবার ব্যথা শুরু হলে সেই যন্ত্রণা ক্রমশ নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: ১২ কেজির বিশাল স্তন! ফিট হয় না কোনও জামা! কেন এমন হল? তরুণীর কষ্ট শুনলে চোখে জল আসবে
২. বাড়িতে কাজ করার সময় অনেকেই অফিসের বেঁধে দেওয়া সময়ের বাইরেও কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে স্ক্রিনের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকার সময়ও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে তাকিয়ে থাকার কারণে বাড়ছে চোখের সমস্যা। এতেই বাড়ছে চোখ শুকিয়ে যাওয়া, ঝাপসা দেখা ও মাথাব্যথার মতো সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে এমন চললে দৃষ্টিশক্তির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজির বিশাল স্তন! ফিট হয় না কোনও জামা! কেন এমন হল? তরুণীর কষ্ট শুনলে চোখে জল আসবে
৩. বসে বসে কাজ করতে করতে শারীরিক কার্যকলাপ কমে যায়। ওজন বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত ওজনজনিত রোগও বাড়ছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার কারণে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো লাইফস্টাইল ডিজিজ এর ঝুঁকি বাড়ছে। এছাড়া, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকায় মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মতো সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
প্রতিকার হিসেবে, কাজের মাঝে নিয়মিত বিরতি নেওয়া, সঠিক ভঙ্গিতে বসা, চোখের ব্যায়াম করা এবং হালকা শারীরিক কসরত করা জরুরি। কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে চলা এবং ভার্চুয়ালি সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়ক। সব মিলিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোমকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে হলে ব্যক্তিগত সচেতনতা ও কিছু নিয়ম মেনে চলা অপরিহার্য। এর মাধ্যমে কাজের উৎপাদনশীলতা বজায় রেখেও সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব।
